পরিবারের কি সোনম-রাজের সম্পর্ক সম্পর্কে জানা ছিল? গুরুতর প্রশ্ন উঠছে

ইন্দোরে আলোচিত রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ড (Raja Raghuvanshi murder case) ক্রমাগত নতুন মোড় নিচ্ছে। এখন এই ঘটনায় অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশীর (Sonam Raghuvanshi) ভাই গোবিন্দের (Govind) আচরণ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বুধবার (১১ জুন ২০২৫) গোবিন্দ মৃত রাজার মায়ের সাথে আলিঙ্গন করে সমবেদনা জানান, যার ফলে এই ঘটনায় গোবিন্দের ভূমিকা ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিতর্ক তীব্র হয়েছে।
রাজার সাথে সোনমের বিয়েতে গোবিন্দের বড় ভূমিকা
গোবিন্দই তার বোন সোনমের জন্য রাজা রঘুবংশীর মতো ভদ্র এবং সুশীল ছেলে খুঁজেছিলেন। মঙ্গলী (Mangali) হওয়া সত্ত্বেও সোনমের জন্য বিয়ে ঠিক করানো, কেনাকাটা করানো, প্রতিটি প্রয়োজনের যত্ন নেওয়া পর্যন্ত সব দায়িত্ব গোবিন্দ পালন করেছেন। এমনকি রক্ষা বন্ধনে সোনম, গোবিন্দের সাথে রাজাকেও রাখি বাঁধতেন, যা তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের গভীরতা স্পষ্ট করে তোলে।
গোবিন্দ কি বোনের সম্পর্ক সম্পর্কে জানতেন না?
গোবিন্দ দাবি করেছেন যে, তিনি সোনম এবং রাজের সম্পর্কের কথা জানতেন না। তার বক্তব্য, বোন কখনও কোনো ইঙ্গিতও দেননি, এবং যদি তিনি কোনো খারাপ কিছুর আভাস পেতেন তাহলে তিনি এই সম্পর্ক কখনও করতেন না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, সোনমের পুরো পরিবার তাদের সম্পর্কের কথা জানত এবং তা সত্ত্বেও জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
শিলং (Shillong) থেকে গাজিপুর (Ghazipur) পর্যন্ত গোবিন্দের সন্দেহজনক সক্রিয়তা
২৩ মে যখন সোনম এবং রাজা নিখোঁজ হন, তখন গোবিন্দ সবার আগে শিলং পৌঁছান এবং সেখানেই থেকে বোনের খোঁজ করতে থাকেন। রাজার মৃতদেহ পাওয়ার পরেও তিনি শেষকৃত্যে অংশ নেননি। পরে গাজিপুরে সোনম গ্রেপ্তার হওয়ার পর গোবিন্দই তার সাথে সবার আগে দেখা করেন এবং বলেন, “আমি ভাইয়ের কর্তব্য পালন করেছি।”
এখন রাজার পরিবারের সমর্থক হলেন গোবিন্দ
সোনমের গ্রেপ্তারি এবং পুরো ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর গোবিন্দ রাজা রঘুবংশীর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। তার বক্তব্য, বোনের অপরাধ তার হৃদয় পরিবর্তন করেছে এবং এখন তিনি সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। যদিও বিশেষজ্ঞ এবং সামাজিক কর্মীরা বলছেন যে, গোবিন্দের এই “বন্ধুত্ব” ভবিষ্যতে নিজের সামাজিক এবং আইনি স্বার্থ রক্ষার জন্য হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত: পুরো পরিবারের ভূমিকা সন্দেহজনক
আইনি বিশেষজ্ঞ অশোক দশোরা (Ashok Dasora) বলেছেন যে, সোনম এবং রাজের সম্পর্কের কথা পরিবার জানত, কিন্তু তা সত্ত্বেও বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। “যদি শিলংয়ে হত্যা না হতো, তাহলে কয়েক মাসের মধ্যে রাজাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়া হতো। এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল এবং সকল আসামীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত,” তিনি বলেছেন।