WTC ফাইনালে এমনটা হলেই পাশা উল্টে যাবে… হারের দোরগোড়ায় থাকা অস্ট্রেলিয়ান দলের বড় দাবি

লর্ডসে (Lord’s) অনুষ্ঠিত আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ICC World Test Championship – WTC) ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ান দল (Australian team) হারের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) চতুর্থ দিনে অর্থাৎ শনিবার (১৫ জুন ২০২৫) জয়ের জন্য মাত্র ৬৯ রান প্রয়োজন এবং তাদের ৮ উইকেট বাকি আছে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৮২ রানের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‘চোকার্স’ (Chokers) তকমা ঝেড়ে ফেলতে এইডেন মার্করাম (Aiden Markram) (১০২ অপরাজিত) এবং অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (Temba Bavuma) (৬৫ অপরাজিত) এর কাছ থেকে অনেক আশা থাকবে। দুজনের মধ্যে তৃতীয় উইকেটে ১৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি হয়েছে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি (Daniel Vettori) একটি বড় দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন যে, যদি আরও একটি উইকেট পড়ে যায়, তাহলে ফাইনালে পাশা উল্টে যেতে পারে।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) প্রাক্তন কিংবদন্তি স্পিনার ভেট্টোরি প্রেস কনফারেন্সে (press conference) চাপ স্বীকার করেছেন কিন্তু চতুর্থ দিনে প্রথম উইকেট নিয়ে তার বোলিং ইউনিটকে (bowling unit) চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উৎসাহিত করেছেন। কোচ বলেছেন, “আমি মনে করি না যে আমরা নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা রাখব। আমি মনে করি, এটি একটি উইকেটের ব্যাপার। এটাই শুরুর বিন্দু। কারণ দুজনেই (মার্করাম-বাভুমা) এতটাই নিয়ন্ত্রণে আছে যে, যদি আমরা ক্রিজে একজন নতুন ব্যাটসম্যান আনতে পারি তাহলে এটাই এর শুরু। তাই আমি মনে করি না যে আট উইকেট কীভাবে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে কোনো চিন্তা থাকবে। এটা কেবল একটি উইকেট নেওয়া এবং তারপর কী হতে পারে, তা দেখার বিষয় হবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনালে শুক্রবার তৃতীয় দিনের শেষে দুই উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। অস্ট্রেলিয়ার চার প্রধান বোলারদের (bowlers) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫০০-এর বেশি উইকেট রয়েছে কিন্তু মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc) (২ উইকেট/৫৩ রান) ছাড়া আর কেউ সাফল্য পাননি। এই ম্যাচের প্রথম দুই দিনে ১৪-১৪ উইকেট পড়েছিল কিন্তু তৃতীয় দিনে পরিস্থিতি ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল যার পুরো সুবিধা দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়েছে। দিনের খেলা শেষ হতে হতে ম্যাচের মোড় পুরোপুরি দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে ঘুরে গিয়েছিল কিন্তু দিনের শুরুর সেশনের পর অস্ট্রেলিয়ার পাল্লা ভারী ছিল।