ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রবিবার ইরানকে অবিলম্বে অস্ত্র তৈরির কারখানা খালি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যা নতুন হামলার আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র কর্নেল আবিচে আদ্রাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ ফারসি ভাষায় এই সতর্কতা জারি করেছেন। তিনি এর আগেও গাজা, লেবানন এবং ইয়েমেনে হামলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি বর্তমানে অত্যন্ত গুরুতর।

সামরিক মুখপাত্র কর্নেল আবিচে আদ্রাইয়ের এই সতর্কতা ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির বক্তব্যের পরই এসেছে, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, যদি ইসরায়েল হামলা বন্ধ করে, তবে তেহরানও আক্রমণ থামিয়ে দেবে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রবিবার বলেন যে, ইসরায়েল যদি তাদের দেশের ওপর হামলা বন্ধ করে, তাহলে ইরানও পাল্টা আক্রমণ বন্ধ করে দেবে। তিনি তেহরানে কূটনীতিকদের সামনে এই বিবৃতি দেন। শুক্রবার ইসরায়েলি হামলার পর এটি ছিল তার প্রথম জনসমক্ষে প্রতিক্রিয়া। আরাগচি এমন এক দিনে প্রকাশ্যে এসেছেন, যেদিন তার তেহরানের দ্রুত বর্ধনশীল পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ওমানে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করার কথা ছিল, কিন্তু ইসরায়েলি হামলার কারণে এই আলোচনা হয়নি। ইসরায়েল রবিবার ইরানের ওপর জোরদার হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল ইরানের জ্বালানি শিল্প এবং প্রতিরক্ষা সদর দফতরকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, অন্যদিকে ইরানও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা জোরদার করে ক্ষেপণাস্ত্রের বর্ষণ করেছে। দুই দিন আগে ইসরায়েল তেহরানের দ্রুত বর্ধনশীল পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার লক্ষ্যে হামলা চালানোর পর থেকে উভয় দেশ হামলা ও পাল্টা হামলায় লিপ্ত রয়েছে। ইসরায়েলের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে তেহরানেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলের জরুরি কর্মকর্তারা বলেছেন যে, ইরানের হামলায় সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে মানুষের মৃত্যু হয়েছে।