নতুন স্মার্টফোন কিনলেই চালু করে নিন এই ৫টি প্রাইভেসি সেটিং, না হলে বড় ক্ষতি হতে পারে

আজকের দিনে স্মার্টফোন প্রতিটি মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। চ্যাটিং করা হোক, ব্যাংকিং সংক্রান্ত কাজ হোক, অনলাইন শপিং হোক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকা হোক, প্রতিটি কাজ এখন ফোনে হয়।
কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে আপনার এই ফোনটি আপনার গোপনীয়তায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে? যদি আপনার ডিভাইসের সুরক্ষা সেটিংস আপডেট না থাকে, তাহলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সাইবার অপরাধীদের হাতে চলে যেতে পারে। আপনার স্মার্টফোনে এই ৫টি সুরক্ষা সেটিং আজই করে নিন।
১. অ্যাপের অনাকাঙ্ক্ষিত পারমিশন বন্ধ করুন
যখনই আমরা কোনো নতুন অ্যাপ ইনস্টল করি, তখন প্রায়শই সেটি না পড়েই ক্যামেরা, মাইক, কন্ট্যাক্ট বা লোকেশনের পারমিশন দিয়ে দিই। এই অসাবধানতাই আপনার ব্যক্তিগত তথ্যকে বিপদে ফেলে দেয়। এই বিপদ থেকে বাঁচতে ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাপের পারমিশন বিভাগটি চেক করুন। দেখুন কোন অ্যাপ কী কী অ্যাক্সেস করছে এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যাক্সেস অবিলম্বে সরিয়ে দিন।
ভারতের ৫টি বিপজ্জনক ড্রোন যা দেখে শত্রুরা কাঁপে, চীন-আমেরিকা পর্যন্ত সতর্ক থাকে
২. সব সময় লোকেশন অন রাখবেন না
যদি আপনার ফোন ক্রমাগত লোকেশন ট্র্যাক করে, তাহলে অনেক থার্ড পার্টি অ্যাপ এর সুবিধা নিতে পারে। তাই ভালো হবে যে লোকেশন ফিচারটি “অলওয়েজ অন” না রেখে “অন ডিমান্ড” রাখুন। সেটিংসে গিয়ে লোকেশনের অপশনে এটি প্রয়োজন অনুযায়ী সক্রিয় করুন। এতে আপনার রিয়েল টাইম ট্র্যাকিং সম্পর্কিত ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।
৩. গুগল এবং ফেসবুকের অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকিং বন্ধ করুন
গুগল এবং ফেসবুকের মতো কো ম্পা নিগুলি ব্যবহারকারীদের সার্চ হিস্টরি, ব্রাউজিং প্যাটার্ন এবং অ্যাপ ব্যবহারের অভ্যাস ক্রমাগত ট্র্যাক করে। এতে গোপনীয়তা লঙ্ঘন হতে পারে। এটি বন্ধ করতে গুগল অ্যাকাউন্টের সেটিংসে গিয়ে ‘Data & Privacy’ বিভাগটি বেছে নিন এবং ‘Web & App Activity’ বন্ধ করুন। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ‘Off-Facebook Activity’ বন্ধ করে তাদের ডেটা থার্ড পার্টির অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা করতে পারে।
ওয়েবসাইট এবং ওয়েব পোর্টালে কী পার্থক্য? যে জেনে নেবে সে প্রো कहलाएगा!
৪. ফোন এবং অ্যাপে মজবুত লক সিস্টেম জরুরি
যদি আপনার ফোন কখনো হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায়, তাহলে আনলক করা ডিভাইস আপনার জীবনের অ্যাক্সেস অন্য কাউকে দিতে পারে। এটি থেকে বাঁচতে আপনাকে প্যাটার্ন, পাসকোড বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো মজবুত লক ব্যবহার করা উচিত। এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ, গ্যালারি এবং ব্যাংকিং অ্যাপগুলিতে আলাদাভাবে অ্যাপ লক লাগানোও আপনার ডিজিটাল সুরক্ষা আরও শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়াও লক স্ক্রিনে সেটিংস অ্যাপ ড্রয়ার বন্ধ করে দিন যাতে ফোন হারালে কেউ ডেটা এবং সিম অ্যাক্সেস বন্ধ করতে না পারে। এছাড়াও, ফোন সুইচ অফ করার জন্য পাসকোড সেট করুন যাতে ফোন হারালে কেউ সেটি বন্ধও করতে না পারে।