ইরান-ইজরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে পৌঁছে তীব্রতর হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে মিসাইল হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার তেল আভিভ, হাইফা ও পেটাহ তিকভায় ইরানের হামলায় বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। ইজরায়েলে এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, অন্যদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের দেশে মৃতের সংখ্যা ২২৪। এই রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানকে অবিলম্বে খালি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যা সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ইরানের পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তেহরানের ঘোষণা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। ট্রাম্পের এই বক্তব্য কি বৃহত্তর সংঘর্ষের ইঙ্গিত?

ট্রাম্প জি-৭ সম্মেলন ছেড়ে একদিন আগেই আমেরিকায় ফিরছেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের আহ্বান জানিয়েছেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ইরান ট্রাম্পকে হত্যার ছক কষছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেই অভিযোগ করেছেন, ইজরায়েল নাগরিকদের লক্ষ্য করছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তেহরানকে মূল্য চোকানোর হুমকি দিয়েছেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশিকান ঐক্যের আহ্বান জানালেও, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই সংঘাত কি বিশ্বকে বৃহত্তর যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? নাকি কূটনীতি এখনও সমাধানের পথ দেখাতে পারে?