সোমবার কোভিড-১৯-এর কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে ১০৮-এ পৌঁছেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক সরকারি কর্মকর্তার দাবি, বেশিরভাগ মৃত্যু এমন রোগীদের, যারা দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র রোগে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং কোভিড-১৯ সরাসরি তাদের মৃত্যুর কারণ নাও হতে পারে। তবে প্রোটোকল অনুযায়ী এগুলো কোভিড মৃত্যু হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে সংক্রমণ সামান্য বেড়েছে, কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর হার সারা দেশে কম। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর হার এক শতাংশেরও কম, তাই আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। তবে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।

কেরালায় সবচেয়ে বেশি সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, ছত্তিশগড়, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ছত্তিশগড়ে ৮৫ বছরের এক ব্যক্তি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ও কোভিডে মারা গেছেন। দিল্লিতে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত ৬৭ বছরের এক ব্যক্তি কোভিড নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণ করেছেন। সরকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা পালনের পরামর্শ দিয়েছে। পাঁচ বছর পর কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়ায় সতর্কতার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জনগণকে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।