তেহরানে বড় অভিযান: প্রতি ২ ঘণ্টায় মোসাদের এক গুপ্তচর ধরছে ইরান, বাড়ছে উত্তেজনা!

তেহরানে বড় অভিযান: প্রতি ২ ঘণ্টায় মোসাদের এক গুপ্তচর ধরছে ইরান, বাড়ছে উত্তেজনা!

ইজরায়েল ইরানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে তাদের সামরিক ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে একের পর এক হামলা চালিয়েছে। এর পাশাপাশি, প্রায় ৩০ জন সামরিক কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে হত্যাও করেছে। এই সমস্ত হামলার মধ্যে সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো, বেশিরভাগ হামলা ইজরায়েল ইরানের ভেতরেই নিজেদের গুপ্তচরদের মাধ্যমে চালিয়েছে। ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এই গুপ্তচর চক্র ইরানের জন্য বড় সমস্যা সৃষ্টি করছে। গত শুক্রবার হামলার পর থেকে ইরানি সংস্থাগুলো এই গুপ্তচরদের খুঁজে বের করার অভিযান চালাচ্ছে, যার ফলস্বরূপ এখন পর্যন্ত ৩৮ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা ইজরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছিল। আগামী দিনে এই ধরনের গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান:

গত রবিবার ইরানের বাহিনী ইজরায়েলি সংস্থা মোসাদের দুই গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করে। ইরানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল যে, দুই সন্দেহভাজন তাদের গোপন আস্তানা ব্যবহার করে বোমা, বিস্ফোরক সামগ্রী, এবং ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম তৈরি করছিল। সোমবার নিরাপত্তা সংস্থাগুলো জানায় যে, তেহরানের দক্ষিণে রে-এর উপকণ্ঠে ইরানি কর্মকর্তারা মোসাদের সাথে জড়িত একটি ‘গোপন ড্রোন-বোমা কারখানা’ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানায় যে তারা ২০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক, ২৩টি ড্রোন, লঞ্চ প্লেটফর্ম এবং আত্মঘাতী ড্রোনের উপাদান খুঁজে পেয়েছে। একই অভিযানে, বেশ কয়েকটি প্রদেশে অন্তত ২৮ জন কথিত ইজরায়েলি এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায়, বুধবার ইরানি সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে যে, ইজরায়েলের মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থার পাঁচ সন্দেহভাজন এজেন্টকে অনলাইনে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারগুলো পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ লোরেস্তানে করা হয়েছে।

ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের তীব্রতা:

ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা এখন চরমে। উভয় দেশের মধ্যে পাল্টা হামলা চলছে। ২০২৫ সালের ১৩ জুন সকালে ইজরায়েল ইরানের উপর হামলা চালায়। ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করেছে কারণ এগুলো তাদের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি ছিল। এই সংঘাত এখন ষষ্ঠ দিনে প্রবেশ করেছে এবং এটি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে একটি বড় যুদ্ধের সম্ভাবনা বেড়ে গেছে, যা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *