“ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী মোদী…”, হঠাৎ কেন এমন বললেন পাকিস্তানি সেনা প্রধান? আমেরিকায় ‘অপারেশন সিন্ধু’ গান গাওয়া হচ্ছে

“ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী মোদী…”, হঠাৎ কেন এমন বললেন পাকিস্তানি সেনা প্রধান? আমেরিকায় ‘অপারেশন সিন্ধু’ গান গাওয়া হচ্ছে

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ মুনীর বর্তমানে পাঁচ দিনের মার্কিন সফরে রয়েছেন। এই সফরের সময় তিনি ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন। তার বক্তব্যে ভারতের প্রতি পুরনো তিক্ততা এবং নতুন ইঙ্গিত উভয়ই দেখা গেছে। মুনীর শুধু ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক সংঘাতের অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেননি, বরং সন্ত্রাসের ইস্যুতে নিজেকে ‘ভুক্তভোগী’ হিসেবে তুলে ধরেছেন। এই সময়ে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় ছিল যে, তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম নেন এবং তাকে পরোক্ষভাবে ধন্যবাদ জানান।

মুনীর তার ভাষণে বলেন যে, ভারত ‘নিউ নরমাল’ নীতি গ্রহণ করছে, যেখানে তারা সীমান্ত লঙ্ঘন করছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, ভারত পাহালগাম হামলার অজুহাতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছে। যদিও সত্যিটা হলো, এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ‘দ্য রেসিস্টেন্স ফ্রন্ট’। এই विरोধাভাস ছিল যে, ভারতকে হুমকি দেওয়ার পর মুনীর পরে বলেন যে, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনা চায় এবং মতভেদগুলি ‘সভ্য দেশ’-এর মতো সমাধান করা উচিত। তিনি বলেন, “আমরা অপমান নয়, শাহাদাত বরণ করতে পছন্দ করব।”

আশ্চর্যজনকভাবে, মুনীর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে, ভারতের পদক্ষেপ পাকিস্তানকে একত্রিত করেছে। তিনি ১৯৭০-এর দশকের ‘শান্তিপূর্ণ পাকিস্তান’-এর কথা মনে করিয়ে দেন, যেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল এবং বিদেশি পর্যটকরা অবাধে ঘোরাফেরা করতেন। মুনীর ইঙ্গিত দেন যে, তিনি সেই পাকিস্তানকে আবার দেখতে চান। জেনারেল মুনীর বুধবার (আজ) সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের বৈঠকে অংশ নেবেন। এই বৈঠকটি ইজরায়েল-ইরান উত্তেজনার মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এবং অনুমান করা হচ্ছে যে, এতে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, বিশেষ করে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন অভিযানে। জেনারেল মুনীরের বক্তব্য দ্বৈত কৌশলের ইঙ্গিত দেয় – একদিকে ভারতকে হুমকি দেওয়া এবং অন্যদিকে আলোচনার কথা বলা। মোদীকে ধন্যবাদ জানানোর পেছনের কূটনীতিকে উপেক্ষা করা যায় না। এখন দেখার বিষয় হলো, ট্রাম্পের সঙ্গে এই বৈঠক নতুন কোনো দিক নির্ধারণ করে কিনা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *