৫৪ বছর বয়সে ৩৫-এর মতো দেখতে রাহুল গান্ধী, ফিট থাকতে কী খান আর কী নয় জেনে নিন

৫৪ বছর বয়সে ৩৫-এর মতো দেখতে রাহুল গান্ধী, ফিট থাকতে কী খান আর কী নয় জেনে নিন

ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম জনপ্রিয় মুখ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)-র আজ, ১৯ জুন, জন্মদিন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই বছর ৫৪ বছর বয়স পূর্ণ করলেও, তার ফিটনেস (Fitness) এবং উদ্যম দেখে অনেকেই প্রায়শই বিস্মিত হন।

ফিট শরীর এবং উজ্জ্বল ত্বক, ৫৪ বছর বয়সী রাহুল গান্ধীকে ৩৫ বছর বয়সী যুবকের মতো দেখায়। দীর্ঘ পদযাত্রা, ট্রেকিং, সাইক্লিং থেকে শুরু করে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর ফিটনেস রুটিন (Fitness Routine) কোনো ক্রীড়াবিদের চেয়ে কম নয়।

৫০ বছর বয়স পেরিয়েও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কীভাবে এত তরুণ এবং ফিট দেখান? তার জন্মদিনে রাহুল গান্ধীর ফিটনেস, খাদ্যাভ্যাস (Eating Habits) এবং ফিটনেস রুটিন সম্পর্কে জানুন।

রাহুল গান্ধীর খাদ্যাভ্যাস
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ফিটনেসের রহস্য তার খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করে। তিনি সাধারণ এবং সুষম খাবার খান। রাহুল গান্ধী কোনো গ্ল্যামারাস ডায়েট (Glamorous Diet) বা ব্যয়বহুল হেলথ সাপ্লিমেন্টস (Health Supplements) এর উপর নির্ভর করেন না। তিনি সবসময় ঘরে তৈরি, কম ভাজা এবং পুষ্টিকর খাবার খান। রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) সময় একটি সাক্ষাৎকারে তার খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানিয়েছিলেন যে তিনি কী খেতে পছন্দ করেন এবং কোন জিনিসগুলি এড়িয়ে চলেন।

রাহুল দিনের শুরু উষ্ণ জল বা লেবু জল দিয়ে করেন। তিনি সকালে এক কাপ কফি (Coffee) এবং সন্ধ্যায় চা (Tea) পান করেন। সুস্থ ত্বক এবং শক্তির জন্য রাহুল গান্ধী সারাদিন প্রচুর জল পান করেন। নারকেল জল (Coconut water), গ্রিন টি (Green Tea) এবং হার্বাল ড্রিঙ্কসও (Herbal Drinks) তার দৈনন্দিন রুটিনের অংশ। রাহুলের মতে, তার ডায়েট বেশ কঠোর। তিনি স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার গ্রহণ করতে পছন্দ করেন। সবুজ শাকসবজি (Green Vegetables), ডাল (Lentils), রুটি (Roti), ফল (Fruits) এবং সালাদ (Salad) তার থালায় নিয়মিত থাকে।

রাহুল গান্ধী কী খান না?
রাহুল গান্ধী মশলাদার খাবার পছন্দ করেন না। জাঙ্ক ফুড (Junk Food), ফাস্ট ফুড (Fast Food) এবং উচ্চ চিনিযুক্ত (High Sugar) জিনিস থেকে তিনি দূরে থাকেন। রাহুল গান্ধী মিষ্টি (Sweets) খান না। তবে তিনি আইসক্রিম (Ice Cream) খুব পছন্দ করেন এবং এটি খাওয়া থেকে নিজেকে আটকাতে পারেন না। রাহুল কাঁঠাল (Jackfruit) এবং মটর (Peas) খেতে পছন্দ করেন না। তিনি কার্বোহাইড্রেটস (Carbohydrates) খাওয়া এড়িয়ে চলেন, তবে যদি তাকে রুটি বা ভাতের মধ্যে কিছু খেতে হয়, তবে তিনি রুটি খান। তিনি ভাত (Rice) এবং চিনি (Sugar) তার ডায়েট থেকে দূরে রাখেন।

নন-ভেজ লাভার রাহুল গান্ধী
রাহুল গান্ধী আমিষ খাবার (Non-veg food) পছন্দ করেন। তার পছন্দের আমিষ পদগুলি হলো চিকেন টিক্কা (Chicken Tikka), সিঙ্ক কাবাব (Seekh Kebab) এবং প্লেইন অমলেট (Plain Omelette)। রাহুল সিফুড (Seafood) এবং মাটনও (Mutton) খেতে পছন্দ করেন।

রাহুল গান্ধীর ওয়ার্কআউট রুটিন
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রতিদিন শারীরিক কার্যকলাপের (Physical Activity) মাধ্যমে নিজেকে সচল রাখেন। তিনি প্রতিদিন দৌঁড়ান (Running), হাঁটেন (Walking) এবং কার্ডিও (Cardio) করেন। এছাড়া সাইক্লিং (Cycling), ট্রেকিং (Trekking) এবং পর্বত আরোহণ (Mountain Climbing) তার শখের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ চলাকালীন তিনি হাজার হাজার কিলোমিটার হেঁটেছিলেন। রাহুল গান্ধী জাজল মার্শাল আর্টস আইকিডো (Aikido) এর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং প্রতিদিন এর অনুশীলনও করেন। মার্শাল আর্টস ছাড়াও রাহুল ডাইভিং (Diving) করতে পছন্দ করেন। প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিট ব্যায়াম (Exercise) তার রুটিনের অংশ।

যোগ এবং মেডিটেশনও করেন রাহুল গান্ধী
মানসিক চাপ (Stress) দূর করতে এবং মানসিক স্থিতিশীলতার (Mental Stability) জন্য রাহুল গান্ধী যোগ (Yoga) ও ধ্যান (Meditation) করেন। তিনি প্রতিদিন প্রাণায়াম (Pranayama), বজ্রাসন (Vajrasana) এবং অনুলোম-বিলোম (Anulom-Vilom) করে মনকে শান্ত রাখেন। এতে তার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত থাকে এবং চেহারায় উজ্জ্বলতাও বজায় থাকে।

রাহুল কোন জিনিস থেকে দূরে থাকেন?
বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী ধূমপান (Smoking) এবং মদ্যপান (Alcohol) থেকে বিরত থাকেন। তিনি গভীর রাতে খাবার বা অতিরিক্ত খাবার (Overeating) খান না। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম (Sleep) তার ফিটনেসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এছাড়া তিনি প্রক্রিয়াজাত খাবার (Processed Food) এবং মিষ্টি থেকে দূরে থাকেন।

৫৪ বছর বয়সে তারুণ্যের মতো চেহারার জন্য রাহুল গান্ধীর স্মার্ট ক্যাজুয়াল লুকস (Smart Casual Looks) এবং প্রাকৃতিক হেয়ার স্টাইলেরও (Natural Hair Style) প্রভাব দেখা যায়। ত্বকের যত্নের (Skin Care) জন্য তিনি হাইড্রেশন (Hydration) এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার (Cleanliness) উপর বিশেষ মনোযোগ দেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *