১৬ বছরের কিশোরীর ফাঁসি! ইরানের নৃশংসতায় বিশ্বে হৈচৈ!

১৬ বছরের কিশোরীর ফাঁসি! ইরানের নৃশংসতায় বিশ্বে হৈচৈ!

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৬ বছর বয়সী আতেফেহ সাহালেহের ফাঁসির ঘটনা নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে, যা ইরানের মৌলবাদী শাসনের নৃশংসতাকে তুলে ধরেছে। আতেফেহকে একটি ছেলের সাথে অবৈধ যৌন সম্পর্কের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাঁর মা একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর বাবা মাদকাসক্ত হন, এবং আতেফেহ দাদা-দাদীর কাছে বড় হন। ১৩ বছর বয়সে তাঁকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১০০ বেত্রাঘাতের শাস্তি দেওয়া হয়। কারাগারে তিনি নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হন। ২০০৩ সালে পুনরায় যৌন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর, তাঁকে মিথ্যা নথি দিয়ে ২২ বছরের প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে দেখানো হয়, কারণ নাবালিকাকে ফাঁসি দেওয়া নিষিদ্ধ। আদালতে তিনি বিচারকের দিকে জুতা ছুঁড়ে প্রতিবাদ জানান, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাঁর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করে।

এই ঘটনা ইরানের নীতি পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থার নিষ্ঠুরতার প্রতিচ্ছবি। আতেফেহের স্বীকারোক্তিতে বলা হয়, একজন ৫১ বছরের প্রাক্তন বিপ্লবী গার্ড তাঁকে বছরের পর বছর ধর্ষণ করেছেন। তবু তাঁর বিরুদ্ধেই মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। এই ঘটনা ইরানে বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছে এবং বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নিন্দার ঝড় উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আতেফেহের গল্প ভাইরাল হয়ে ইরানের শাসনব্যবস্থার অমানবিকতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এই ঘটনা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যখন ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বাঙ্কারে আত্মগোপন করেছেন এবং দেশটি ইসরায়েলের আক্রমণের মুখে রয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *