ইরানের পরমাণু ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারবে না ইজরায়েল’, কেন এমন মন্তব্য করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?

ইরানের পরমাণু ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারবে না ইজরায়েল’, কেন এমন মন্তব্য করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?

ইজরায়েল (Israel) ও ইরানের (Iran) মধ্যে চলমান যুদ্ধে আমেরিকা তৃতীয় পক্ষ। যদিও আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধে জড়িত হয়নি, তবে তারা ইরানের উপর হামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশ বলছে যে, আমেরিকার উচিত যুদ্ধে জড়িত না হয়ে উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) করানো।

ট্রাম্প (Donald Trump) ইরানের উপর হামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, কিন্তু হঠাৎ করে হামলার চূড়ান্ত আদেশ ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করে দেন। এখন সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন যে, ইজরায়েলের এত ক্ষমতা নেই যে তারা ইরানের ফোর্ডো নিউক্লিয়ার সাইটকে (Fordo Nuclear Site) সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারে।

ইজরায়েলের ক্ষমতা সীমিত বললেন ট্রাম্প
ট্রাম্প বলেন যে, ইজরায়েলের ইরানের পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস করার ক্ষমতাই নেই। আসলে ইজরায়েলের সামরিক ক্ষমতা এবং শক্তি খুবই সীমিত। ইজরায়েল ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইরানের একটি ছোট অংশ ধ্বংস করতে পারে, কিন্তু মাটির গভীরে গিয়ে বাঙ্কার বা কোনো আস্তানা ধ্বংস করতে পারে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মন্তব্য ইজরায়েলের প্রেসিডেন্টকে দেওয়া একটি জবাব। ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে, যদি আমেরিকা যুদ্ধে সাহায্য নাও করে, তাহলেও ইজরায়েল নিজেই যথেষ্ট। তারা খামেনেইকে (Khamenei) শেষ করতে এবং ফোর্ডো পরমাণু ঘাঁটি ধ্বংস করতে সক্ষম। ইজরায়েলের আমেরিকার প্রয়োজন নেই। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য ইজরায়েলের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের পাল্টা জবাব।

ট্রাম্প যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করতে পারেন
উল্লেখ্য, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তি স্থাপনকারী (Peace Maker) হিসেবে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন যে, তিনি আবারও শান্তি স্থাপনকারী হতে পারেন। তিনি পরিস্থিতি অনুযায়ী ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করতে পারেন। ইরান ইউরোপীয় দেশগুলির সাথে চুক্তি করতে চায় না, তাদের সাথে কথাই বলতে চায় না। ইরান আমেরিকার সাথে কথা বলতে চায় এবং যদি তারা কথা বলে, তাহলে তারা যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা করতে পারে। তবে ট্রাম্প এও স্বীকার করেছেন যে, কখনও কখনও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

ইরানকে সময় দিতে হামলা স্থগিত
ট্রাম্প বলেন যে, তিনি ইরানের উপর হামলা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন, যাতে ইরানকে চুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির বিষয়ে চিন্তা করার জন্য কিছুটা সময় দেওয়া যায়। যতক্ষণ ইরান জিতছে এবং তার সম্পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করে পাল্টা জবাব দিচ্ছে, ততক্ষণ তারা ইজরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবে না। তবে ইরানের বিদেশমন্ত্রী বলেন যে, তারা তখনই হামলা বন্ধ করবে, যখন ইজরায়েল হামলা বন্ধ করবে। এদিকে ট্রাম্পের বক্তব্য হলো, ইরান যদি কথা বলতে চায়, তাহলে এগিয়ে আসুক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *