চীনকে কোণঠাসা করার প্রস্তুতি, ভারত তার সরবরাহ নির্ভরতার মেরুদণ্ড ভেঙে দিল

চীনকে কোণঠাসা করার প্রস্তুতি, ভারত তার সরবরাহ নির্ভরতার মেরুদণ্ড ভেঙে দিল

ভারত সরকার বিরল মৃত্তিকা খনিজ (Rare Earth Minerals) উৎপাদনের জন্য একটি দারুণ পরিকল্পনা তৈরি করেছে, যাতে চীনের (China) উপর আমদানির নির্ভরতা (Import Dependency) শেষ করা যায় এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে (Global Supply Chain) ভারতের আধিপত্য বৃদ্ধি পায়।

এই স্কিমের আওতায় সরকার ৩৫০০ থেকে ৫০০০ কোটি টাকার একটি ইনসেনটিভ প্যাকেজ (Incentive Package) আনছে, যা শীঘ্রই সবুজ সংকেত পেতে পারে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারত শুধুমাত্র তার শিল্প চাহিদা (Industrial Needs) পূরণ করবে না, বরং কৌশলগতভাবেও স্বয়ংসম্পূর্ণ (Self-Reliant) হওয়ার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ নেবে।

বিরল মৃত্তিকা খনিজ যেমন ল্যান্থানাম (Lanthanum), সেরিয়াম (Cerium) এবং নিওডিমিয়াম (Neodymium), ইলেকট্রনিক্স (Electronics), প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম (Defense Equipment), নবায়নযোগ্য শক্তি (Renewable Energy), বৈদ্যুতিক যানবাহন (Electric Vehicles) এবং উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পে (High-Tech Industries) ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে বৈশ্বিক বাজারে এই খনিজগুলির সরবরাহে চীনের আধিপত্য রয়েছে, যা প্রায় ৮০% উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। এই স্কিমের অধীনে সরকার সেইসব কো ম্পা নিগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা দেবে, যারা সবচেয়ে কম খরচে বিরল মৃত্তিকা খনিজ উত্তোলন (Mining) এবং প্রক্রিয়াকরণ (Processing) করতে পারবে।

ভারতের পরিকল্পনা
এই পরিকল্পনায় সরকার শুধু খনিজ উত্তোলনকেই উৎসাহিত করবে না, বরং বিরল মৃত্তিকা অক্সাইডগুলির প্রক্রিয়াকরণ (Processing) এবং পরিশোধনের (Refining) উপরও মনোযোগ দেবে। এই প্রক্রিয়াটি প্রযুক্তিগতভাবে বেশ কঠিন এবং ব্যয়বহুল, যার কারণে অনেক দেশ এতে পিছিয়ে পড়েছে। ভারত এখন এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ (Investment) এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে (Technology Development) বাড়িয়ে বৈশ্বিক বাজারে তার অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে চায়।

এই স্কিমটি ভারতের কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক নীতির জন্য গেম-চেঞ্জার (Game-Changer) প্রমাণিত হতে পারে। প্রতিরক্ষায় দেশীয় সরঞ্জাম তৈরি করা থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং নবায়নযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণ পর্যন্ত বিরল মৃত্তিকা খনিজগুলির সহজলভ্যতা ভারতের উন্নয়নকে গতি দেবে। একই সাথে এই পদক্ষেপ চীনের সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর ভারতের নির্ভরতা কমিয়ে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে (Strategic Autonomy) শক্তিশালী করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই স্কিমটি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতাকেই বাড়িয়ে তুলবে না, বরং ভারতকে বৈশ্বিক স্তরে বিরল মৃত্তিকা খনিজগুলির একটি পাওয়ার হাউসও (Powerhouse) বানাতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *