ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে গত ৯ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে, যা এখন আরও বিপজ্জনক মোড় নিয়েছে। ইসরায়েল ইরানের ইসফাহান শহরে একটি পারমাণবিক কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ইসরায়েলের দাবি, এই হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ২-৩ বছর পিছিয়ে গেছে। যদিও ইরান বলেছে যে, হামলার পর কোনো ধরনের পারমাণবিক বিকিরণ হয়নি। তবে দুই দেশের মধ্যে চলা হামলা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে।

ইসরায়েলের প্রতিশোধ এবং ইরানের পাল্টা আক্রমণ
ইরান এবং ইসরায়েল একে অপরের ওপর একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েল শুধু ইসফাহানেই হামলা করেনি, বরং দাবি করেছে যে তারা রেভোলিউশনারি গার্ড (IRGC)-এর ইউএভি (UAV) কমান্ডার আমিনপুর জউদকিকেও হত্যা করেছে, যিনি ইরান থেকে ইসরায়েলে ড্রোন হামলা চালিয়েছিলেন।

অন্যদিকে, ইরানও চুপ করে বসে নেই। তারা ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব এবং আরও কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এই সর্বশেষ ইরানি হামলাগুলিতে কমপক্ষে ২৩ জন ইসরায়েলি আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

লেবানন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ল আগুন, হিজবুল্লাহও নিশানায়
এই যুদ্ধের আগুন এখন লেবানন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর আস্তানাগুলিতে হামলা চালানোর দাবি করেছে। ইসরায়েলের দাবি, এই আস্তানাগুলি ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। একজন আটক হিজবুল্লাহ যোদ্ধার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। এই যুদ্ধে ইসরায়েল এই প্রথম লেবাননে হামলা চালিয়েছে, যা সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত।

বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বৃদ্ধি
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরব লীগের কূটনীতিকদের সাথে বৈঠকের জন্য ইস্তাম্বুল পৌঁছেছেন, যেখানে এই গুরুতর সংঘাত নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই বৈঠকে ৪০ জন কূটনীতিকের যোগদানেরও আশা করা হচ্ছে।