আমেরিকা বলছে ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে, ইরান দাবি করছে – সামান্য ক্ষতি হয়েছে; তাহলে কি ট্রাম্পের আক্রমণ অর্থহীন ছিল?

আমেরিকা বলছে ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে, ইরান দাবি করছে – সামান্য ক্ষতি হয়েছে; তাহলে কি ট্রাম্পের আক্রমণ অর্থহীন ছিল?

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন। এই হামলা ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান পরমাণু কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। হামলার পর মার্কিন মিডিয়া দাবি করছে যে ফোরদো নিউক্লিয়ার সাইট সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, কিন্তু ইরান এর পালটা দাবি করেছে। ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ফোরদো পরমাণু কেন্দ্রের শুধুমাত্র প্রবেশ ও নির্গমন টানেলের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে, প্রকাশিত ছবিতে দূর থেকে বিশাল আগুনের গোলা দেখা যাচ্ছে, যা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত দেয় এবং ইরানের দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ হামলার বিষয়ে তথ্য শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আমরা ইরানের ৩টি নিউক্লিয়ার সাইট ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানে সফল হামলা করেছি। হামলার পর সমস্ত বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে চলে গেছে। ফোরদো-এর পরমাণু ঘাঁটিতে বোমাগুলোর সম্পূর্ণ পেলোড ফেলা হয়েছে। সমস্ত বিমান নিরাপদে ফিরে আসছে। আমাদের মহান আমেরিকান যোদ্ধাদের অভিনন্দন। বিশ্বে আর কোনো সেনাবাহিনী এমনটা করতে পারত না। এখন শান্তির সময়। এই বিষয়ে আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ।”

ফোরদো প্ল্যান্ট পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত হওয়ায় এটিকে অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং উন্নত বলে মনে করা হয়। এতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে। এটি কেবল আমেরিকার GBU-57 ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত করা সম্ভব। এদিকে, ইরানের সরকারি টেলিভিশন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি সতর্ক করে বলেছে, “আপনি শুরু করেছেন, এখন আমরা এর শেষ করব।” অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন হামলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। উল্লেখ্য, প্রায় ৮ দিন আগে ইসরায়েল ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছিল, যার পালটা জবাবে উভয় দেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এখন এই সংঘাতে আমেরিকাও সরাসরি জড়িয়ে পড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *