ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধে এবার আমেরিকা সরাসরি প্রবেশ করেছে। শনিবার গভীর রাতে আমেরিকা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা – নাতাঞ্জ, ফোরদো এবং ইসফাহানে – উপর্যুপরি বোমা বর্ষণ করেছে।

এই হামলার পর ইরান আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। ইরান একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।

ইরানের এই সিদ্ধান্তের পর মহাশক্তিধর আমেরিকা পুরোপুরি কেঁপে উঠেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিও সতর্ক করে বলেছেন যে, হরমুজ প্রণালী বন্ধ করা ইরানের জন্য একটি ভয়ানক ভুল হবে। যদি ইরান এমনটা করে, তাহলে এটি তাদের জন্য আর্থিক আত্মহত্যা হবে।

হরমুজ প্রণালী এবং চীনের ভূমিকা
রুবিও বলেছেন যে, এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমেরিকার কাছে বিকল্প রয়েছে। তিনি বিশেষভাবে চিনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা ইরানকে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করা থেকে বিরত রাখে। এর কারণ হিসেবে রুবিও উল্লেখ করেছেন যে, চিন হরমুজ থেকে আসা তেলের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এক অর্থে, আমেরিকা এখানে চিনের প্রতি কিছুটা নরম মনোভাব দেখিয়েছে। রুবিও আরও বলেছেন যে, ইরানকে পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে, কিন্তু পারমাণবিক জ্বালানি সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হবে না।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো থেকে কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়ায়নি। নাতাঞ্জ, ফোরদো, ইসফাহানের বাসিন্দাদের কোনো বিপদ নেই। হামলাগুলোতে পারমাণবিক প্ল্যান্টের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি।

সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি
তবে, ইরানের এই সিদ্ধান্তের উপর এখনও চূড়ান্ত সিলমোহর পড়েনি। ইরানের সংসদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে এর উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনেই নেবেন। যদি তিনি এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দেন, তাহলে অপরিশোধিত তেলের দামে ব্যাপক উল্লম্ফন আসতে পারে। ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে তেলের দাম ইতিমধ্যেই ১০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইরানের কঠোর প্রতিক্রিয়া
মার্কিন হামলার পর ইরান কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইরান বলেছে যে, আমেরিকার হামলা পারমাণবিক নিরাপত্তার লঙ্ঘন। ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেছেন যে, আমেরিকাকে এর ফল ভোগ করতে হবে এবং কঠোর জবাব দেওয়া হবে। অন্যদিকে, ইরানি সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনেইয়ের উপদেষ্টা আলি শামখানি বলেছেন যে, “খেলা শেষ হয়নি, চমক অব্যাহত থাকবে।”