ইরানে হামলার পর ট্রাম্পের সংকট, যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকায় বিদ্রোহ!

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আমেরিকায় রাজনৈতিক ঝড় উঠেছে। ২২ জুন রবিবার ফোর্ডো, নাতানজ ও ইসফাহানে বি-২ বোমারু বিমানের হামলার পর ডেমোক্র্যাট নেতারা ট্রাম্পকে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে তীব্র সমালোচনা করেছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ রো খান্না কংগ্রেসের সদস্যদের ওয়াশিংটনে ফিরে এসে ট্রাম্পের সামরিক ক্ষমতা সীমিত করতে তাঁর প্রস্তাবিত যুদ্ধ ক্ষমতা আইনের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার বলেন, “কোনও রাষ্ট্রপতি এককভাবে আমেরিকাকে যুদ্ধে জড়াতে পারেন না।” এই হামলা ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে আমেরিকাকে টেনে নিয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, যা অঞ্চলজুড়ে অস্থিরতার ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
এই ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে উত্তেজনা তুঙ্গে, যেখানে খান্নার প্রস্তাবে ৪৭ জন ডেমোক্র্যাট সদস্য ইতিমধ্যে সমর্থন দিয়েছেন, এবং তিনি সপ্তাহান্তে ২১৩ জনের সমর্থন আশা করছেন। ১৯৭৩ সালের যুদ্ধ ক্ষমতা আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতিকে কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া সামরিক পদক্ষেপে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত তথ্য দিতে হয়, যা ট্রাম্পের ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ। প্রাক্তন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, “এই হামলা সংবিধানের অবমাননা এবং আমেরিকান জনগণকে বিপদে ফেলেছে।” এই সংকটে ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও আমেরিকার বৈশ্বিক ভূমিকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।