পায়েল অরোরার ভুলেই প্রাণ গেল ২৮০ জনের? এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য!

গত ১২ জুন ২০২৫ তারিখে গুজরাটের আহমেদাবাদে সংঘটিত মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় পুরো দেশ শোকস্তব্ধ। আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করা এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৮০ জন যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়, যা শুধু পরিবারগুলোকেই বিধ্বস্ত করেনি, বরং ভারতের বিমান চলাচল শিল্পে সুরক্ষার মান নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার তদন্তে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) এয়ার ইন্ডিয়ার তিন সিনিয়র কর্মকর্তাকে দায়ী করেছে। এই তিন কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছে পায়েল অরোরার নামও। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ক্রু শিডিউলিং এবং রোস্টারিংয়ে গুরুতর অনিয়ম ছিল, যার ফলস্বরূপ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ডিজিসিএ এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
ডিজিসিএ-র তদন্তে উঠে এসেছে যে পায়েল অরোরা, যিনি ক্রু শিডিউলিং-প্ল্যানিংয়ে নিযুক্ত ছিলেন, নিয়ম লঙ্ঘন করে এমন ক্রু সদস্যদের জুটিবদ্ধ করেছিলেন যারা অনুমোদিত বা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত ছিলেন না। এছাড়াও, অনেক পাইলট এবং কেবিন ক্রুকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না দিয়েই ক্রমাগত ফ্লাইটে মোতায়েন করা হয়েছিল, যা বিমান সুরক্ষা নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই “সিস্টেম্যাটিক ব্যর্থতা”-র জন্য ডিজিসিএ পায়েল অরোরাসহ আরও দুই সিনিয়র কর্মকর্তাকে দায়ী করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনার পর পায়েল অরোরা লিংকডইনে তার স্ট্যাটাস ‘Open to Work’ করেছেন, যা তার নতুন কর্মজীবনের সন্ধানের ইঙ্গিত দেয়।