আমেরিকা ছাড়া আর কোন দেশগুলোর কাছে স্টিলথ বোমারু বিমান আছে? যুদ্ধে এই বিমানগুলো কিভাবে মোড় ঘুরিয়ে দেয়?

আমেরিকা ছাড়া আর কোন দেশগুলোর কাছে স্টিলথ বোমারু বিমান আছে? যুদ্ধে এই বিমানগুলো কিভাবে মোড় ঘুরিয়ে দেয়?

ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে এখন আমেরিকাও যুক্ত হয়েছে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী ২২শে জুন সকালে আমেরিকা তাদের বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ব্যবহার করে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

এরপর বিশ্বজুড়ে স্টিলথ বোমারু বিমান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে যে, এটি কতটা বিপজ্জনক যে এটি ইরানে প্রবেশ করে হামলা চালালো এবং ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এটি শনাক্তও করতে পারল না। চলুন, আপনাকে বলি এটি কতটা বিপজ্জনক এবং বিশ্বের কোন কোন দেশের কাছে স্টিলথ বোমারু বিমান রয়েছে।

স্টিলথ বোমারু বিমান কী?
স্টিলথ বোমারু বিমান কেবল একটি নাম নয়, বরং একটি প্রযুক্তি, যা বিশ্বের বৃহত্তম রাডার সিস্টেমকেও ফাঁকি দিতে সক্ষম। এটি এমন একটি যুদ্ধবিমান, যা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে রাডার এটিকে ধরতে না পারে। আমেরিকা দীর্ঘকাল ধরে স্টিলথ বোমারু বিমান প্রযুক্তিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল, কিন্তু গত কয়েক দশকে বিশ্বের অনেক দেশ এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে, যাদের কাছে এখন স্টিলথ বোমারু বিমান চালানোর সক্ষমতা রয়েছে।

কোন কোন দেশের কাছে স্টিলথ বোমারু বিমান আছে?
আমেরিকা বিশ্বের একমাত্র দেশ যার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত স্টিলথ বোমারু বিমান আছে। আমেরিকার কাছে বর্তমানে বি-২ স্পিরিট স্টিলথ বোমারু বিমান রয়েছে। তাদের কাছে শীঘ্রই বি-২১ রেইডার আসতে চলেছে, যা আরও আধুনিক এবং বিপজ্জনক বোমারু বিমান হবে। এগুলো পারমাণবিক এবং প্রচলিত উভয় ধরনের অস্ত্র দিয়েই সজ্জিত। আমেরিকার পর রাশিয়ার কাছে পিএকে-ডিএ স্টিলথ বোমারু বিমান রয়েছে, যদিও এগুলো এখনও মোতায়েন করা হয়নি।

আশা করা হচ্ছে যে, ২০২৫ সালের মধ্যে রাশিয়া এগুলো মোতায়েন করবে, যদিও অনেক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে এটি ২০২৭ সালের দিকে সক্রিয় হতে পারে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীন, চীনে জিয়ান এইচ-২০ স্টিলথ বোমারু বিমানের প্রকল্পে কাজ চলছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি আমেরিকার বি-২-এর সাথে পাল্লা দেবে। ভারত বর্তমানে স্টিলথ ফাইটার (এএমসিএ) নিয়ে কাজ করছে।

কিভাবে এটি যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়?
এই বিমানগুলো বিশেষ প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়, যার ফলে এগুলো শত্রুর রাডারে ধরা পড়ে না। এটি শত্রুর এলাকায় প্রবেশ করে বড় ধরনের হামলা চালাতে সক্ষম। এর ক্ষমতার কথা বলতে গেলে, এটি হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকেও নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এই বিমানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহন এবং নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *