এই বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার জনগণের জন্য একের পর এক উপহার ঘোষণা করছে। সম্প্রতি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সরকার পেনশনের পরিমাণ ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১০০ টাকা করেছে। এবার বেকারত্ব কমানোর উদ্দেশ্যে সরকার আরও একটি বড় প্রকল্পের প্রস্তুতি নিয়েছে, যার সরাসরি সুবিধা পাবে রাজ্যের ৯৪ লাখ দরিদ্র পরিবার।

কী এই প্রকল্প?
বিহার সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষদের স্ব-কর্মসংস্থান শুরু করার জন্য রাজ্য সরকার তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। এই সহায়তা সম্পূর্ণরূপে অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে, অর্থাৎ এটি ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। প্রয়োজন হলে এই টাকার পরিমাণ বাড়ানোও হতে পারে।

কারা পাবেন এই সুবিধা?
এই প্রকল্পের সুবিধা সব জাতি ও সম্প্রদায়ের দরিদ্র পরিবারগুলো পাবে, যার মধ্যে সवर्ण, পিছিয়ে পড়া, অতি পিছিয়ে পড়া, দলিত, মহাদলিত এবং মুসলিম সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত। যোগ্যতার জন্য আবেদনকারীর নাম ২০২৩ সালের জাতিভিত্তিক জনগণনায় নথিভুক্ত থাকা আবশ্যক, এবং তাকে দারিদ্র্যসীমার (BPL) নিচে বসবাসকারী হতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে আবেদনকারীকে কিছু প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে:

বিহার রাজ্যের আধার কার্ড
আয় প্রমাণপত্র
জাতিগত প্রমাণপত্র
ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ
বিহারের জাতিগত সমীকরণ
বিহারের ২০২৩ সালের জাতিভিত্তিক জনগণনা অনুযায়ী, এখানকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি ৭ লাখ। এই জনগণনার রিপোর্ট ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর প্রকাশ করা হয়েছিল। এতে জানানো হয়েছিল যে, বিহারে অতি পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ৩৬.০১%, পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ২৭.১২%, তফসিলি জাতির ১৯.৬৫%, তফসিলি উপজাতির ১.৬৮% এবং সাধারণ শ্রেণীর ১৫.৫২% মানুষ রয়েছে।