২ হাজার কিমি পাল্লা, ১৫০০ কেজি ওয়ারহেড… কী বিশেষত্ব খোররামশাহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, যা মার্কিন বিমান হামলার পর ইরান ইসরায়েলের দিকে ছুড়ল?

২ হাজার কিমি পাল্লা, ১৫০০ কেজি ওয়ারহেড… কী বিশেষত্ব খোররামশাহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, যা মার্কিন বিমান হামলার পর ইরান ইসরায়েলের দিকে ছুড়ল?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলার পর ইরান ইসরায়েলের উপর হামলা তীব্র করেছে। ইরানি সেনাবাহিনী মার্কিন হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই তাদের সবচেয়ে বিপজ্জনক খোররামশাহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করে।

ইরানের সরকারি টিভি ক্ষেপণাস্ত্রটির ছবি দেখিয়ে এই দাবি করেছে।

ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) অনুসারে, মার্কিন বিমান হামলার পর ইরান ইসরায়েলের উপর অন্তত ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে খোররামশাহর-৪ ও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ইরানি শহরের নামে রাখা হয়েছে খোররামশাহর ক্ষেপণাস্ত্রের নাম
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে ইরানি শহর খোররামশাহর-এর নামে। এই শহরটি ১৯৮০-এর দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সাক্ষী ছিল। এটি খাইবার নামেও পরিচিত, যার নামকরণ করা হয়েছে একটি ইহুদি দুর্গের নামে। খাইবার এখন সৌদি আরবে অবস্থিত, যা সপ্তম শতাব্দীতে দখল করা হয়েছিল।

খোররামশাহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব কী?
খোররামশাহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্র একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের সরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থা এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ অর্গানাইজেশন (AIO) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।
খোররামশাহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২,০০০ কিলোমিটার, অর্থাৎ এটিকে নিক্ষেপ করা হলে এটি ২,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত তার শত্রুদের লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। এর পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রটি ১,৫০০ কিলোগ্রাম ওয়ারহেড (বিস্ফোরক সামগ্রী) বহন করতে পারে।
খোররামশাহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা করা হয়েছিল ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে। এটিকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তেহরান সামরিক কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হয়। খোররামশাহরের আপডেট সংস্করণ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে কুচকাওয়াজের সময় প্রকাশ করা হয়।
ইরানের এই বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্রটি খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র নামেও পরিচিত। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে, এই খোররামশাহর-৪ উত্তর কোরিয়ার হোয়াসং-১০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (IRBM)-কে নকল করে তৈরি করা হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *