ইসরায়েলের ঘুম কেড়ে নিল… ‘এই হলো ইরানের ‘ব্রহ্মোস’ মিসাইল’

ইসরায়েলের ঘুম কেড়ে নিল… ‘এই হলো ইরানের ‘ব্রহ্মোস’ মিসাইল’

ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমেরিকা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রের বর্ষণ শুরু করে।

এই হামলাগুলোতে ইরানের সবচেয়ে বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্র খোররামশাহর-৪ অর্থাৎ খাইবার ব্যবহার করা হয়েছিল। এটি দেখে ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর রাতের ঘুম উড়ে গেছে।

ইরানি হামলায় কী ঘটল?
প্রতিবেদন অনুসারে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, জৈব গবেষণা কেন্দ্র, লজিস্টিক বেস এবং কমান্ড কন্ট্রোল সেন্টারকে লক্ষ্যবস্তু করে। হামলার ২০তম তরঙ্গে ইরান ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ৮৬ জন আহত হয়েছেন এবং বহু বাড়িঘর মারাত্মকভাবে ধ্বংস হয়েছে।

কী এই খোররামশাহর-৪ মিসাইল?
এটি ইরানের সবচেয়ে উন্নত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এর নামকরণ করা হয়েছে ৭ম শতাব্দীতে জয় করা একটি ইহুদি দুর্গ খাইবার-এর নামে। জ্বালানি চালিত এই মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ অর্গানাইজেশন তৈরি করেছে।

খোররামশাহর-৪ এর ক্ষমতা কী?
যদি আমরা এই ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতার কথা বলি, তাহলে আপনি জেনে অবাক হবেন যে এর পাল্লা প্রায় ২,০০০ থেকে ২,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এটি একসাথে অনেক ওয়ারহেড বহন করতে পারে, যার ওজন ১,৮০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। বাতাসে এর গতি ম্যাক ১৬ (শব্দের ১৬ গুণ) এবং পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় ম্যাক ৮ হয়।

এটি এত বিপজ্জনক কেন?
এই ক্ষেপণাস্ত্র ৮০টিরও বেশি ভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে একসাথে হামলা করতে পারে। এর ওয়ারহেড শেষ পর্যায়ে আলাদা হয়ে লক্ষ্যবস্তুকে অত্যন্ত নির্ভুলভাবে আঘাত করে। শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে এটি ট্র্যাক করা প্রায় আসাম্ভব।

ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য এটি মাথাব্যথার কারণ কেন?
ইসরায়েলের আয়রন ডোম-এর মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এটি থামাতে দুর্বল প্রমাণিত হচ্ছে। ডেভিডস স্লিং, অ্যারো-২, এবং অ্যারো-৩-এর মতো উন্নত সিস্টেমগুলোও খোররামশাহর-৪ এর একাধিক হামলা একসাথে সামলাতে পারছে না।

ভারতের ব্রহ্মোসের মতো কেন ধরা হচ্ছে?
যদিও ব্রহ্মোস এবং খোররামশাহর-৪ প্রযুক্তিগতভাবে আলাদা, তবে উভয়ের গতি, লক্ষ্যবস্তুর নির্ভুলতা এবং শত্রুকে হতবাক করে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের সুপার-ওয়েপন বানিয়ে তোলে। তাই এটিকে ইরানের ব্রহ্মোস-ও বলা যেতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *