ইসরায়েল ইরান যুদ্ধ: যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথেই ইরান ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের উপর চাপ বাড়িয়েছে। ইরান তার দেশ থেকে মোসাদের ৬ জন গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের সবার বিরুদ্ধে সাইবার স্পেসের মাধ্যমে মোসাদকে গোপন তথ্য পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে।

ইরান এই গুপ্তচরদের আইনি বিচারের জন্য পাঠিয়েছে। মেহের নিউজ (Mehr News) অনুসারে, এই ৬ জন গুপ্তচরকে ইরানের হামদান প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিরন্তর নজরদারি
ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা এই গুপ্তচরদের ধরতে নিরন্তর নজরদারি চালাচ্ছিল। মোসাদ বা ইসরায়েল এখনও এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

মোসাদের নির্দেশে কাজ করছিল
মোসাদের এই ৬ জন গুপ্তচরের গ্রেপ্তার নিয়ে ইরান বলছে যে, তারা সবাই ইসরায়েলের নির্দেশে কাজ করছিল। এই গুপ্তচররা মোসাদের সাথে গোপন তথ্য আদান-প্রদান করছিল। এর পাশাপাশি, তারা স্থানীয়দের সরকারের বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছিল। ইরান এই গুপ্তচরদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করেছে। ইরানে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যুদ্ধের সময় ইরান ক্রমাগত মোসাদের উপর চাপ বাড়াচ্ছিল।

এক সপ্তাহে ২০ গুপ্তচর গ্রেপ্তার
এ পর্যন্ত ইরান মোসাদের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গত এক সপ্তাহে অন্তত ২০ জন গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করেছে। এর পাশাপাশি, ২ জন গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রবিবারও ইরান মোসাদের জন্য গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত একজন গুপ্তচরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে।

ইরানে মোসাদের গভীর অনুপ্রবেশ
মোসাদের ইরানে গভীর অনুপ্রবেশ রয়েছে। ইরান ইন্টারন্যাশনাল (Iran International) অনুসারে, মোসাদের গুপ্তচররা পরিবহন খাতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। ট্রাক চালক হিসেবে এই গুপ্তচররা ইরানের গোপন তথ্য ইসরায়েলে পাঠায়।

মোসাদ এই তথ্যের ভিত্তিতে ইরানের প্রশাসনে অস্থিরতা সৃষ্টি করে আসছে। সম্প্রতি সংঘটিত যুদ্ধে মোসাদ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে ইরানের ১৫ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে।

এছাড়াও, ইসরায়েলি অভিযানে ১০ জন সামরিক কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে যুদ্ধের প্রধানও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ইসরায়েলের এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিল মোসাদ।