ইরানের পরমাণু ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস, তেহরান এটিকে আর তৈরি করতে পারবে না; ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি

ইরানের পরমাণু ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস, তেহরান এটিকে আর তৈরি করতে পারবে না; ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, B-2 স্টিলথ বোমারু বিমানগুলো ইরানের তিনটি প্রধান পরমাণু ঘাঁটি (ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান) আক্রমণ করে সেগুলোকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।

ট্রাম্প বলেছেন, “ইরান তার পরমাণু স্থাপনা পুনরায় তৈরি করতে পারবে না। সেই স্থান পাথরের নিচে এবং সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের B-2 পাইলটরা অসাধারণ কাজ করেছে।” এই হামলাকে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ (Operation Midnight Hammer) নাম দেওয়া হয়েছিল, যা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে আমেরিকার সরাসরি অংশগ্রহণের প্রথম উদাহরণ।

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি দীর্ঘকাল ধরে আন্তর্জাতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ফোর্দো পাহাড়ের নিচে ৩০০ ফুট গভীরে তৈরি হয়েছে। এটিকে উচ্চ মানের ইউরেনিয়াম মজুদের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমেরিকা ১৪টি GBU-57 ম্যাসিব অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (বাঙ্কার-বাস্টার) বোমা ব্যবহার করেছে, যা শুধুমাত্র B-2 বোমারু বিমানই বহন করতে পারে। এছাড়াও, ইসফাহানের ওপর ২৪টি টমাহক ক্রুজ মিসাইল (Tomahawk Cruise Missiles) নিক্ষেপ করা হয়েছে। ট্রাম্প এটিকে একটি ঐতিহাসিক সাফল্য বলে অভিহিত করেছেন। তবে, ইরানি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে, তাদের পরমাণু সামগ্রী ইতিমধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

হামলার পর রেডিয়েশনের ঝুঁকির উপর নজর
ইরান আমেরিকার হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে এবং পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এটিকে বিপজ্জনক এবং বেআইনি বলে বর্ণনা করেছেন। যদিও, জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে যে, রেডিয়েশন স্তরে কোনো বৃদ্ধি দেখা যায়নি। ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যদি ইরান পাল্টা হামলা চালায় তবে আরও কঠোর হামলা চালানো হবে। এর মধ্যেই, ইসরায়েল ইরানের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে হামলা অব্যাহত রেখেছে। এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে। যদিও, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *