বিয়েতে নববধূ ছুরি নিয়ে বলল- “ছুঁলে ৩৫ টুকরো করে দেব”, তারপর দেয়াল টপকে প্রেমিকের সাথে উধাও

বিয়েতে নববধূ ছুরি নিয়ে বলল- “ছুঁলে ৩৫ টুকরো করে দেব”, তারপর দেয়াল টপকে প্রেমিকের সাথে উধাও

প্রয়াগরাজের নৈনিতে (Naini) এক নববধূ বাসর রাতে বরকে ছুরি দেখিয়ে হুমকি দিয়েছে এবং বলেছে, ‘ছুঁলে ৩৫ টুকরো করে দেব।’ সে প্রেমিকের সাথে থাকার জেদ ধরে ছিল। পরিবার পঞ্চায়েত ডেকেছিল, বোঝাপড়াও হয়েছিল, কিন্তু সে দেয়াল টপকে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে।

রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলার (Raja Raghuvanshi murder case) পর এবার উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যা মানুষকে হতবাক করেছে। নৈনি এলাকার বাসিন্দা কাপ্তান নিষাদের (Kaptan Nishad) সম্প্রতি বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু বাসর রাতেই নববধূ সিতারা (Sitara)-এর আসল চেহারা সামনে চলে আসে। সে স্বামীকে ছুরি দেখিয়ে হুমকি দেয় এবং বলে, “যদি আমাকে ছোঁও, তাহলে ৩৫ টুকরো হয়ে যাবে।”

কাপ্তান নিষাদের বিয়ে ২৯শে এপ্রিল করছনা ডিহা (Karchhana Diha) নিবাসী লক্ষ্মী নারায়ণ নিষাদের (Lakshmi Narayan Nishad) মেয়ে সিতারার সাথে খুব ধুমধাম করে হয়েছিল। বিয়ে পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু বাসর রাতে সিতারা একদম ফিল্মি স্টাইলে স্বামীকে ছুরি দেখিয়ে হুমকি দেয়। সে বলে, “আমি অন্য কারো আমানত। আমার থেকে দূরে থাকো।”

ছুরি নিয়ে তিন রাত
কাপ্তান জানান যে, প্রথম রাতে তিনি ভয় পেয়ে চুপচাপ সোফায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু যখন টানা তিন রাত ধরে সিতারা তাকে ছুরি দেখিয়ে হুমকি দেয় এবং একই সাথে প্রেমিকের সাথে থাকার কথা বারবার বলতে থাকে, তখন তার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তখন তিনি তার মাকে সবকিছু জানান, যার পর পুরো পরিবার এই প্রতারণার কথা জানতে পারে।

পঞ্চায়েতে আপস হয়েছিল, কিন্তু…
ব্যাপারটি মীমাংসার জন্য পঞ্চায়েত ডাকা হয়। পঞ্চায়েতে সিতারার বাবাও আসেন এবং আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে, সিতারা এখন তার স্বামীর সাথেই থাকবে। তাকে বয়ফ্রেন্ড আমনকে (Aman) ভুলে যেতে হবে। একটি লিখিত বোঝাপড়াও হয়েছিল যে সে শ্বশুরবাড়িতে পুত্রবধূ হিসেবেই থাকবে।

কিন্তু রাতারাতি দেয়াল টপকে উধাও
আপসের পরও সিতারার আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সে ক্রমাগত স্বামীকে হুমকি দিতে থাকে। অবশেষে কাপ্তানের বাবা রাম আসরে (Ram Asre) থানায় অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার আগেই সিতারা মাঝরাতে বাড়ির দেয়াল টপকে প্রেমিক আমনের সাথে পালিয়ে যায়।

পুলিশ তদন্তে নেমেছে
এখন এই মামলা পুলিশের কাছে পৌঁছে গেছে এবং উভয় পরিবারেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে, নববধূর খোঁজ চলছে। এই ঘটনা সমাজে বিবাহ নামক পবিত্র বন্ধনের নামে প্রতারণা এবং ছলনার এক গুরুতর উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা রাজা রঘুবংশী কাণ্ডের স্মৃতিকে তাজা করে তুলেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *