চিনকে ইরানের তেল কিনতে ট্রাম্পের ছাড়, পেছনে কী চাল?

চিনকে ইরানের তেল কিনতে ট্রাম্পের ছাড়, পেছনে কী চাল?

ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনকে ইরান থেকে তেল আমদানির অনুমতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এই ঘোষণা করে বলেছেন, “চিন এখন ইরান থেকে তেল কেনা চালিয়ে যেতে পারে। আশা করি, তারাও আমেরিকা থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল কিনবে।” এই পদক্ষেপ ইরানের উপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ছাড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্পের এই বক্তব্যে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিতও রয়েছে, যা ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। এই সিদ্ধান্ত পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা হ্রাস এবং তেলের বৈশ্বিক বাজারে স্থিতিশীলতা আনার প্রচেষ্টার অংশ হতে পারে।

ট্রাম্পের এই ঘোষণা চিন-মার্কিন সম্পর্কের প্রেক্ষাপটেও তাৎপর্যপূর্ণ। চিনকে ইরানের তেল কেনার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি আমেরিকার তেল রপ্তানি বাড়ানোর আহ্বান ট্রাম্পের বাণিজ্যকেন্দ্রিক কৌশলের ইঙ্গিত দেয়। এই পদক্ষেপ চিনের শক্তি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আমেরিকার তেল শিল্পের স্বার্থ রক্ষার প্রয়াস হতে পারে। তবে, এই সিদ্ধান্ত ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলির সম্পর্ক এবং তেলের বাজারে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতির পটভূমিতে এই ছাড় ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা কমানোর একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। আগামী দিনে এই ঘোষণার ফলাফল বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতির গতিপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *