ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের মধ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) অপারেশন সিন্দুরে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর (পিএএফ) গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। এয়ার ফোর্সেস মান্থলি ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুসারে, আইএএফ-এর রাফালে জেট ১০টি SCALP-EG ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্রহ্মোস-এ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পিএএফ-এর সারগোধা, নূর খান, রফিকি সহ ১৩টির মধ্যে ১১টি ঘাঁটিতে আঘাত হানে। এই হামলা ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহলগামে পাক-সমর্থিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধে পরিচালিত হয়, যাতে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। স্যাটেলাইট চিত্রে ভোলারি ঘাঁটির হ্যাঙ্গারে F-16 এবং Saab 2000 Erieye বিমান ধ্বংসের প্রমাণ মিলেছে।

SCALP-EG-এর নিম্ন-পর্যবেক্ষণযোগ্য নকশা পাকিস্তানের চীনা HQ-9 ও HQ-16 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়েছে, যখন ব্রহ্মোস-এ ম্যাক ২.৮-৩.০ গতিতে বিধ্বংসী আঘাত হানে। নয়টি SCALP-EG সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, একটি ইঞ্জিন ব্যর্থতার কারণে ব্যর্থ হয়। Su-30MKI থেকে নিক্ষেপিত ব্রহ্মোস-এ কোনো ত্রুটি দেখায়নি। এই অভিযান পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যার মধ্যে কমান্ড সেন্টার, রানওয়ে, রাডার স্থাপনা এবং হ্যাঙ্গার ধ্বংস হয়েছে। ভারতের এই কৌশলগত সাফল্য প্রাণঘাতী অস্ত্র ও উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে আঞ্চলিক শক্তি প্রদর্শন করেছে।