পূর্ব বর্ধমানের কালনা পূর্বস্থলীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল নিয়ে অভিনব ব্যবস্থা চোখে পড়েছে। এখানে হিন্দু ও মুসলিম পড়ুয়াদের জন্য আলাদা রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাতা, খুন্তি থেকে শুরু করে রান্নার চুলা পর্যন্ত পৃথক রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবস্থা চললেও এটি সম্প্রতি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কালনার মহকুমা শাসক এই ব্যবস্থার তীব্র বিরোধিতা করেছেন এবং স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে এমন কোনো বিভাজন গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি জানিয়েছেন, স্কুল পরিদর্শক (এসআই) ও ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকদের (বিডিও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে সকলের জন্য একসঙ্গে রান্না হবে এবং সকলে একসঙ্গে খাবে। এই ঘটনা স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

এই পৃথক রান্নার ব্যবস্থা শিক্ষার পরিবেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিপরীতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মিড ডে মিল কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুষ্টি ও ঐক্য প্রচার করা, কিন্তু এই বিভাজন সেই লক্ষ্যকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। মহকুমা শাসকের নির্দেশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই ব্যবস্থা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা এই ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, কেউ কেউ এটিকে সাম্প্রদায়িক বিভেদের প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন, অন্যরা এটিকে প্রশাসনিক ত্রুটি বলে উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনা স্কুলগুলোতে মিড ডে মিল ব্যবস্থাপনার উপর আরও কঠোর তদারকির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।