‘নেতানিয়াহু, এখনই হামলা বন্ধ করো…’, ফোনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ওপর রেগে আগুন হয়েছিলেন ট্রাম্প, ইরান যুদ্ধবিরতির পেছনের গল্প

‘নেতানিয়াহু, এখনই হামলা বন্ধ করো…’, ফোনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ওপর রেগে আগুন হয়েছিলেন ট্রাম্প, ইরান যুদ্ধবিরতির পেছনের গল্প

২৩শে জুন সকালে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে এবং কিছু মিনিটের মধ্যেই ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে একটি ফোন আসে।

এই ফোনটি ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের, এবং এবার এটি বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না। ডোনাল্ড ট্রাম্প রাগে লাল হয়ে গিয়েছিলেন এবং প্রায় আদেশমূলক স্বরে হামলা বন্ধ করতে বলেন। এই কথোপকথন সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র জেরুজালেম পোস্টকে জানিয়েছে যে, কলের সময় নেতানিয়াহু প্রায় নিশ্চুপ ছিলেন। অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প অত্যন্ত কঠোর ভাষায় নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

নেতানিয়াহুর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ট্রাম্প
জেরুজালেম পোস্ট সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, এই কথোপকথনটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরে হয়েছিল। সূত্রটি বলেছে যে, নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের মধ্যে এটি একটি কঠিন কথোপকথন ছিল। ট্রাম্প ঘোষণার পরেও ইসরায়েলি হামলাকে ব্যক্তিগত অপমান হিসেবে দেখেছিলেন এবং স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে কেউ – অর্থাৎ কেউ – এটিকে ছোট করে দেখবে না। ট্রাম্পের কঠোর মনোভাব দেখে অবশেষে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর পাইলটদের হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ইরানকেও কড়া বার্তা পাঠানো হয়েছিল
চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল তেহরানের কাছে একটি রাডার স্টেশনে হামলা চালায়, যা প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত লক্ষ্যবস্তু থেকে অনেক দূরে ছিল। শুধু ইসরায়েলই নয়, আমেরিকা কাতারকে (Qatar) ব্যবহার করে ইরানকেও কঠোর বার্তা পাঠিয়েছিল, যেখানে অবিলম্বে হামলা বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। ইরানকে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল, ‘কোনো বোকামি নয়, আর কোনো হামলা নয়।’

পোস্ট একটি ইসরায়েলি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, আমেরিকার সাথে একটি প্রক্রিয়া এবং প্রোটোকল স্থাপনের চেষ্টা চলছে, যাতে ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পুনরায় শুরু হলে তা পর্যবেক্ষণ করা যায় এবং আমেরিকা ও ইসরায়েল কীভাবে এমন প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে কাজ করবে তা নির্ধারণ করা যায়। ইরান গত দুই সপ্তাহে বারবার বলেছে যে, ইসরায়েল হামলা বন্ধ করলে তারা আমেরিকার সাথে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *