পাকিস্তানি সাংবাদিকের চাঞ্চল্যকর দাবি, এক বছরের মধ্যেই ভারত পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে, ট্রাম্পের তোষামোদে ফুঁসছে জনতা!

পাকিস্তানি সাংবাদিকের চাঞ্চল্যকর দাবি,  এক বছরের মধ্যেই ভারত পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে, ট্রাম্পের তোষামোদে ফুঁসছে জনতা!

ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক আবারও এক উত্তেজনাপূর্ণ মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলা ভারতকে যেমন নাড়িয়ে দিয়েছে, তেমনই পাকিস্তানের ভেতরে নতুন এক উদ্বেগের জন্ম হয়েছে। পাকিস্তানের প্রবীণ সাংবাদিক হাসান আইয়ুব খান (Hasan Ayub Khan) দাবি করেছেন যে, ভারত আগামী এক বছরের মধ্যেই পাকিস্তানের ওপর আবারও সামরিক অভিযান চালাতে পারে। এই মন্তব্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, বিশেষত যখন দেশের সরকার এবং সেনাবাহিনী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ‘তোষামোদে’ ব্যস্ত রয়েছে।

পাকিস্তানি সাংবাদিক হাসান আইয়ুব খানের মতে, ভারত আর আগের মতো নেই এবং তাদের সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। তিনি বলেন, “ভারত এখন ইসরায়েলের মতো আগ্রাসী সামরিক নীতির দিকে এগোচ্ছে। যেভাবে ইসরায়েল কোনো সতর্কতা ছাড়াই ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছে, একই কৌশল ব্যবহার করে ভারতও পাকিস্তানকে নিশানা করতে পারে।” তিনি আরও জানান যে, ভারত সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিতে অভূতপূর্ব গতি এনেছে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি এখন যুদ্ধ নিয়ে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখাচ্ছেন। হাসান আইয়ুব সতর্ক করে বলেছেন যে, ভারত এবার কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা অন্যান্য সামরিক অভিযান চালাতে পারে। তার বিশ্বাস, ভারতের সামরিক নীতি এখন প্রতিক্রিয়া-ভিত্তিক না হয়ে প্রতিরোধমূলক হামলার দিকে বিকশিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে এখন তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিতে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে।

পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী ট্রাম্পের পেছনে, জনতা ক্ষুব্ধ
এদিকে, পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তাদের সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ফেটে পড়েছে। এর কারণ হলো পাকিস্তান সরকার এবং সেনাপ্রধানের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খুশি করতে অতিরিক্ত ব্যস্ত থাকা। প্রথমে জেনারেল আসিফ মুনির (Asif Munir) ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার দাবি জানান, তারপর প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকার তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করে। এখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফও (Khawaja Asif) ট্রাম্পকে ‘জাদুকরী নেতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

এই ঘটনাগুলোতে ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের জনতা এখন রাস্তায় নেমে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে জনসভা পর্যন্ত সরকার ও সেনাবাহিনীর ‘ট্রাম্পভক্তি’-র সমালোচনা হচ্ছে। মানুষ প্রশ্ন তুলছে যে, এমন এক নাজুক মুহূর্তে যখন ভারত থেকে যুদ্ধের আশঙ্কা ঝুলছে, সেই সময় পাকিস্তানের পুরো ব্যবস্থা আমেরিকা থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার কৌশলে জড়িয়ে আছে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এই আওয়াজ ভারতের কৌশলগত পরিবর্তনের বৈশ্বিক স্বীকৃতি তুলে ধরছে। একই সাথে এটিও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ভারত এখন সীমান্তে হামলার জবাব দেওয়ার পরিবর্তে, আগে হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিক এখন ভারসাম্যহীন দেখাচ্ছে, এবং আসন্ন সময় এই অঞ্চলে আরও একটি সামরিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *