কে এই তরুণ জোহরান মামদানি, যার নির্বাচনী জয় আমেরিকার প্রেসিডেন্টকেও চমকে দিয়েছে?

কে এই তরুণ জোহরান মামদানি, যার নির্বাচনী জয় আমেরিকার প্রেসিডেন্টকেও চমকে দিয়েছে?

বর্তমানে আমেরিকায় একজন ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তার নাম জোহরান মামদানি (Zohran Mamdani)। আলোচনার কারণ হলো, মামদানি নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের প্রাইমারি নির্বাচনে (New York City Mayor Primary Election) জয়ী হয়েছেন। এখন তিনি ৪ঠা নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির (Democratic Party) প্রার্থী হবেন।

প্রাইমারি নির্বাচনে ৩৩ বছর বয়সী মামদানি সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে (Andrew Cuomo) পরাজিত করেছেন। তার এই জয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও (Donald Trump) চমকে দিয়েছে।

জোহরান মামদানির জয়ের পর ট্রাম্প তাকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, “ডেমোক্র্যাটরা সীমা অতিক্রম করেছে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট মামদানিকে “১০০ শতাংশ কমিউনিস্ট (Communist) এবং পাগল” বলেছেন। ট্রাম্প এখানেই থামেননি, তিনি মামদানিকে নিয়ে জাতিগত মন্তব্যও করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন যে, “সে খারাপ দেখতে। সে খুব চালাক নয়। যারা তাকে সমর্থন করছে, তারা সবাই নির্বোধ।” এই সমস্ত কথা ট্রাম্প তার ট্রুথ (Truth) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন।

কে এই জোহরান মামদানি?
জোহরান মামদানির জন্ম ১৯৯১ সালের ১৮ই অক্টোবর উগান্ডার (Uganda) কাম্পালায় (Kampala)। তিনি নিউইয়র্ক সিটিতে বেড়ে উঠেছেন। যখন তার বয়স সাত বছর ছিল, তখনই তিনি তার বাবা-মায়ের সাথে নিউইয়র্কে আসেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ মামদানি (Mohammad Mamdani) এবং মায়ের নাম মীরা নায়ার (Mira Nair)। মোহাম্মদ মামদানি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Columbia University) অধ্যাপক ছিলেন, অন্যদিকে জোহরানের মা মীরা নায়ার ভারতের একজন সুপরিচিত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক। মীরা নায়ার ‘সালাম বম্বে’ (Salaam Bombay) এবং ‘মনসুন ওয়েডিং’ (Monsoon Wedding) এর মতো চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন। জোহরান মামদানিতে সাধারণ ভারতীয়দের আগ্রহের কারণ হলো, তিনি মীরা নায়ারের পুত্র। জোহরানের বিয়ে হয়েছে সিরীয় বংশোদ্ভূত শিল্পী রামা দুয়াজির (Rama Duwaji) সাথে।

মামদানি ২০২০ সালে প্রথম নির্বাচনে জয়ী হন
জোহরান মামদানি ২০২০ সালে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির (New York State Assembly) ৩৬তম ডিস্ট্রিক্ট (অ্যাসটোরিয়া, কুইন্স) থেকে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট পার্টির টিকিটে নির্বাচন লড়েন এবং জয়লাভ করেন। এটি ছিল তার প্রথম নির্বাচন, যেখানে তিনি চারবারের বিধায়ক আরাবেলা সিমোটাসকে (Aravella Simotas) পরাজিত করেন। এই জয়ের সাথে মামদানি নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে প্রথম দক্ষিণ এশীয় (South Asian) এবং প্রথম সোশ্যালিস্ট প্রতিনিধি হন।

রাজনীতিতে আসার আগে জোহরান একজন সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। যদি তিনি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হন, তবে এই পদে পৌঁছানো প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ার পাশাপাশি তিনি প্রথম মুসলিমও হবেন। তার নির্বাচনী প্রচারাভিযান যুবক এবং দরিদ্রদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *