‘আমরা ইরানের পরমাণু ঘাঁটি ধ্বংস করেছি’, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও নিজের পিঠ চাপড়ালেন, বি-২ পাইলটদের স্যালুট!

ইসরায়েল (Israel) এবং ইরানের (Iran) মধ্যে পরিস্থিতি আপাতত কিছুটা শান্ত হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে এবং হামলা বন্ধ রয়েছে। তবে এর মধ্যেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) আবারও শিরোনামে এসেছেন।
ট্রাম্প কেবল নিজের পিঠ চাপড়াননি, বরং দাবি করেছেন যে ২২শে জুনের আমেরিকান হামলায় ইরানের পরমাণু ঘাঁটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
তিনি তার বিবৃতিতে ইসরায়েল পারমাণবিক শক্তি কমিশনের (IAEC) রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে ইরানের ফোর্দো (Fordo) পরমাণু কেন্দ্রে হামলার ফলে এর গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সমৃদ্ধকরণের (enrichment) সুবিধা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কী বলেছেন?
ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি টুইটের মাধ্যমে বলেছেন, “ইসরায়েল জানিয়েছে যে পরমাণু কেন্দ্রগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে! আমাদের মহান বি-২ (B-2) পাইলট এবং এতে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ!” ট্রাম্প এও বলেছেন যে, আইএইসি (IAEC) অনুসারে, আমেরিকা এবং ইসরায়েলের যৌথ হামলা ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিকে বহু বছর পিছিয়ে দিয়েছে, এবং এটি তেহরানের (Tehran) জন্য একটি বড় ধাক্কা।
আইএইসি (IAEC) এর রিপোর্টে কী বলা হয়েছে?
ইসরায়েল পারমাণবিক শক্তি কমিশনের (IAEC) রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকান হামলার পর ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, যদি ইরানকে পরমাণু সামগ্রী থেকে দূরে রাখা যায়, তাহলে এই অগ্রগতি দীর্ঘকাল ধরে থমকে থাকতে পারে। এটি পশ্চিমা দেশগুলির জন্য একটি কূটনৈতিক এবং কৌশলগত সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সিএনএন (CNN) এর রিপোর্টে প্রশ্ন উঠেছে
তবে, ট্রাম্পের দাবির মধ্যেই আমেরিকান গণমাধ্যম সংস্থা সিএনএন (CNN) এর একটি রিপোর্ট পুরো পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। রিপোর্টে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (DIA) এবং অন্যান্য গোপন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, আমেরিকান হামলা পরমাণু কর্মসূচিতে কেবল অস্থায়ী ধাক্কা দিয়েছে, এবং ইরানের পরমাণু ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়নি। সিএনএন জানিয়েছে যে হামলার আগে ইরান ইউরেনিয়ামের (Uranium) মজুদ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলেছিল এবং সেখানে এখনও সেন্ট্রিফিউজ (Centrifuges) কাজ করছে। এমন অবস্থায় এটি বলা তাড়াতাড়ি হবে যে ইরানের পরমাণু ক্ষমতা সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেছে।
নতুন বিতর্কের জন্ম
ট্রাম্পের সর্বশেষ বিবৃতি আমেরিকায় আবারও রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একদিকে ট্রাম্প এটিকে তার সরকারের অর্জন বলছেন, অন্যদিকে সিএনএন-এর মতো সংস্থাগুলো এই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এখন দেখতে হবে যে আগামী দিনে সত্যিই ইরানের পরমাণু উচ্চাকাঙ্ক্ষা থামানো সম্ভব হয়েছে কিনা।