২ ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারীর মধ্যে বাড়ছে বন্ধুত্ব, বিশ্বে আসছে মহাপ্রলয়, শক্তিশালী দেশগুলো খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে

ইরান-ইসরায়েল (Iran-Israel) যুদ্ধ সারা বিশ্বে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল। এই সময় আমেরিকা (America) ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে (Nuclear Facilities) বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান (B-2 Stealth Bombers) দিয়ে হামলা চালিয়ে পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল।
কিন্তু আসল বিপদ হয়তো সেখানে নয়, বরং অন্য কোথাও। এমন একটি দেশ যা ইতিমধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এবং এখন এই হামলাকে তার কৌশলকে আরও গতিশীল করার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এই দেশটি হলো উত্তর কোরিয়া (North Korea)। স্বৈরাচারী কিম জং উনের (Kim Jong Un) সাম্রাজ্য, যা এখন আরও সতর্ক হয়েছে।
রাশিয়া (Russia) এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বাড়ছে বন্ধুত্ব
কিম জং উন ইতিমধ্যেই বিশ্বাস করেন যে পারমাণবিক অস্ত্রই তাদের শক্তির গ্যারান্টি। আর এখন যখন আমেরিকা এমন একটি দেশের উপর হামলা চালিয়েছে যারা এখনও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারেনি, তখন এটি উত্তর কোরিয়ার জন্য সরাসরি বার্তা হয়ে উঠেছে যে অস্ত্র ছাড়া থাকা বিপদজনক। ইরানের উপর আমেরিকার হামলার পর উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে বাড়তে থাকা বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হতে পারে। ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধের সময় পিয়ংইয়ং (Pyongyang) রাশিয়াকে অস্ত্র এবং সৈন্য পাঠিয়েছিল এবং বিনিময়ে রাশিয়া তাকে আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি থেকে তেল পর্যন্ত সবকিছু দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার কাছে আছে এই অস্ত্র
এখন এই সম্পর্ক কেবল বাণিজ্য নয়, বরং কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত হচ্ছে। আগামী মাসগুলিতে সম্মিলিত অস্ত্র উন্নয়ন, সামরিক অনুশীলন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর সবকিছুই দ্রুত বাড়তে পারে। মনে করা হয় যে, উত্তর কোরিয়ার কাছে এখন ৪০ থেকে ৫০টি পারমাণবিক অস্ত্র এবং আইসিবিএম (ICBM)-এর মতো ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা আমেরিকা পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকার জন্য উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোনো সামরিক পদক্ষেপের কল্পনা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইরানের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া ইরানের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। তাদের কাছে অস্ত্র আছে, সম্পদ আছে এবং এখন রাশিয়ার মতো একটি শক্তিশালী সহযোগীও আছে। ইরানের উপর আমেরিকার হামলা যদিও একটি বার্তা ছিল, কিন্তু উত্তর কোরিয়া এটিকে আরও একটি কারণ হিসেবে দেখতে পারে। এবং সেই কারণটি হলো তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে আরও ত্বরান্বিত করা। তাই সংক্ষেপে বলা যায় যে, এই হামলা কিম জং উনকে ভীত করেনি, বরং সম্ভবত তাকে আরও বিশ্বাস দিয়েছে যে যাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই, তারাই নিশানায় রয়েছে। এবং এই চিন্তা ভবিষ্যতে বিশ্বকে আরও অস্থির করতে পারে।