ওয়ালমার্টের সিলিকন ভ্যালি স্বপ্ন, ৬ লক্ষ কোটির দৌড়!

ওয়ালমার্টের সিলিকন ভ্যালি স্বপ্ন, ৬ লক্ষ কোটির দৌড়!

ওয়ালমার্ট প্রযুক্তি জগতে অ্যামাজন, গুগল ও নেটফ্লিক্সের মতো দৈত্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামছে, আরকানসাসের বেন্টনভিলে ৬,০০,০০০ কোটি টাকার একটি অত্যাধুনিক সদর দপ্তর নির্মাণ করে। এই ৩৫০ একরের ক্যাম্পাসে রোবট গ্রাউন্ডকিপার, বৈদ্যুতিক বাইক, হোটেল, ফিটনেস সেন্টার, অ্যাম্ফিথিয়েটার এবং খাবার হলের মতো সিলিকন ভ্যালি-ধাঁচের সুবিধা রয়েছে। পুরানো গুদাম-ধাঁচের সদর দপ্তর থেকে এটি এক বিরাট পরিবর্তন। ওয়ালমার্টের লক্ষ্য শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিভাদের আকর্ষণ করা, যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ড্রোন ডেলিভারি এবং ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের মতো ক্ষেত্রে কাজ করবে। কো ম্পা নির ১৫,০০০ কর্পোরেট কর্মচারীর এক-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যেই প্রযুক্তি কর্মী, যা ওয়ালমার্টের ঐতিহ্যবাহী খুচরা ইমেজ থেকে প্রযুক্তি-চালিত রূপান্তরের ইঙ্গিত দেয়।

এই উদ্যোগের পেছনে চ্যালেঞ্জ হলো আরকানসাসের মতো কম জনপ্রিয় অঞ্চলে প্রতিভা আকর্ষণ। সান ফ্রান্সিসকো বা নিউ ইয়র্কের প্রযুক্তি কর্মীরা বেন্টনভিলের জীবনযাত্রায় আগ্রহী হতে পারে না। তবে, ওয়ালমার্টের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যান বার্টলেট জানিয়েছেন, এই ক্যাম্পাস প্রতিভা নিয়োগ ও ধরে রাখার জন্য অপরিহার্য। কো ম্পা নিটি ই-কমার্সে লাভজনকতা অর্জন করেছে এবং লুই ভিটনের মতো উচ্চমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। ড্রোন ডেলিভারি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ওয়ালমার্ট সুবিধা ও গতির দিকে মনোনিবেশ করছে, যেখানে অ্যামাজন দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার করছে। এই সাহসী পদক্ষেপ ওয়ালমার্টকে প্রযুক্তি জগতে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *