ভারত কতটা চক্ষুশূল ড্রাগনের? এবার চীন বন্ধ করলো এই বিশেষ পণ্যের সরবরাহ, বিকল্প কী?

ভারত কতটা চক্ষুশূল ড্রাগনের? এবার চীন বন্ধ করলো এই বিশেষ পণ্যের সরবরাহ, বিকল্প কী?

বিরল আর্থ মিনারেল (Rare Earth Mineral)-এর পর এবার চীন ভারতের বিরুদ্ধে আরও একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, গত দুই মাস ধরে চীন ভারতে রপ্তানি করা বিশেষ সার (Special Fertilizer Shipments) বন্ধ করে দিয়েছে। এই সার ভারতে ফল, সবজি এবং অন্যান্য লাভজনক ফসলের উৎপাদন বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।

অন্যদিকে, চীন অন্যান্য দেশে এই সার পাঠাচ্ছে। ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্টে বেশ কয়েকজন শীর্ষ আমদানিকারকের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো, ভারত এই সারের প্রায় ৮০ শতাংশ চীন থেকে আমদানি করে। সল্যুবল ফার্টিলাইজার ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (SFIA)-এর সভাপতি রাজীব চক্রবর্তী বলেছেন, ‘চীন গত চার থেকে পাঁচ বছর ধরে ভারতে বিশেষ সার সরবরাহকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। তবে, এবার এটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।’

অফিসিয়াল নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই বন্ধ হয়েছে সরবরাহ
জানা গেছে, ভারতে পাঠানো চালানগুলি কারখানা থেকে বের হওয়ার পর চীন দ্বারা পরীক্ষা করা হয় এবং চীন সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্র মারফত ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে যে, চীনা কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা ছাড়াই ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য পাঠানো চালানের পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছেন। যার কারণে ভারত আমদানি করতে পারছে না।

ভারত কতটা সার আমদানি করে?
ভারত জুন-ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে গড়ে ১৫০,০০০ থেকে ১৬০,০০০ টন বিশেষ সার আমদানি করে। ভারত তার বিশেষ সারের চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশের জন্য চীনের উপর নির্ভরশীল।

ভারতে এই বাজারের আকার কত বড়?
ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (FAI) অনুসারে, ভারতে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সারের বাজার ২০২৯ সালের মধ্যে ৯.২% এর সিএজিআর (CAGR) সহ ১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এফএআই অনুসারে, ভারতীয় বায়োস্টিমুল্যান্টস ২০২৯ সালের মধ্যে ১৫.৬% এর সিএজিআর সহ ৭৩৪ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যখন জৈব সারের বাজার ২০৩২ সালের মধ্যে ৭% এর সিএজিআর সহ ১.১৩ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে।

কেন এই সার বিশেষ?
এই সার ফসলের উৎপাদন বাড়ায়, মাটির স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং পুষ্টি ব্যবহারের ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ঐতিহ্যবাহী সারের তুলনায় বেশি কার্যকর। এই সেক্টরে কাজ করা ভারতের কো ম্পা নিগুলির মধ্যে দীপক ফার্টিলাইজারস, পারাদীপ ফার্টিলাইজারস এবং নাগার্জুন ফার্টিলাইজার কো ম্পা নি-এর মতো সমস্ত শীর্ষ সার কো ম্পা নিগুলি এই ক্ষেত্রে কাজ করে।

ভারতের কাছে কী বিকল্প আছে?
ভারত এই বিশেষ সারের পরিবর্তে ঐতিহ্যবাহী সার ব্যবহার করতে পারে। এছাড়াও, চীন থেকে ৮০ শতাংশ বিশেষ সার আমদানি কমিয়ে অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি বাড়াতে পারে। অন্যদিকে, ভারত নিজের দেশেও বিশেষ সারের উৎপাদন বাড়াতে পারে, যাতে চীনের মতো দেশগুলির উপর নির্ভর করতে না হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *