বন্ধু হবে তো রাশিয়ার মতো! ভারত পাবে চীন-পাকিস্তানকে ধ্বংসকারী সুপার ফাইটার জেট, শত্রুর চোখে পড়বে না!

ভারতকে তাদের সুপার ফাইটার জেট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এই সুপার ফাইটারটি হলো পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান Su-57E। শুধু তাই নয়, রাশিয়া ভারতকে এই বিমানের সম্পূর্ণ সোর্স-কোডও দেবে।
এর মানে হলো, ভারত বিমানের প্রযুক্তির সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবে। একই সঙ্গে, ভারত এটিকে তাদের দেশে তৈরির লাইসেন্সও পাবে। এই খবর পাকিস্তান, চীন এবং আমেরিকার জন্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারে, কারণ আমেরিকা ভারতকে কখনো তাদের প্রযুক্তি দেয়নি। অন্যদিকে, চীন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ভারত চায় রাশিয়া এই বিমানে ভারতে তৈরি সিস্টেম লাগাক। যেমন GaN-ভিত্তিক AESA রাডার (উদাহরণস্বরূপ উত্তম) এবং মিশন কম্পিউটার। বর্তমানে, রাশিয়া এই বিষয়ে বিবেচনা করছে। মনে করা হচ্ছে যে, এই ফাইটার জেটের আগমনে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে ভারতের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।
Su-57E কতটা শক্তিশালী? জানুন এর বৈশিষ্ট্য
সুখোই Su-57E একটি দুর্দান্ত যুদ্ধবিমান, যা Su-57-এরই উন্নত সংস্করণ। এটি দুটি ইঞ্জিনযুক্ত পঞ্চম প্রজন্মের বিমান। এটিকে রাশিয়ার সুখোই সংস্থা তৈরি করেছে। এটি শত্রুকে ধোঁকা দিতে পারদর্শী, অর্থাৎ এটি রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে। সুখোই-57E খুব কম জায়গা ব্যবহার করে যে ধরনের অ্যারোব্যাটিক করে, তা দেখে মানুষ হতবাক হয়ে যায়। সুখোই-57E-এর সুবিধার কথা বলতে গেলে, Su-57E রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমান। এটি সুপারসোনিক ক্রুজ, স্টিলথ ডিজাইন এবং মাল্টিরোল ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত। এর সর্বোচ্চ গতি ২৪৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি হতে পারে। এর অপারেশনাল রেঞ্জ ৩০০০ থেকে ৪৮০০ কিমি পর্যন্ত।
কীভাবে এটি শত্রুর জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে?
এটি AESA রাডার, আধুনিক এভিওনিক্স এবং AI-সহায়তা প্রাপ্ত যুদ্ধ ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত। Su-57E-তে বাতাস-থেকে-বাতাস এবং বাতাস-থেকে-ভূমিতে আঘাত হানার ক্ষেপণাস্ত্র, হাইপারসোনিক অস্ত্র এবং ৩০ মিমি অটো-ক্যানন রয়েছে। এর উন্নত সুপারম্যানুভারিবিলিটি সিস্টেম এটিকে আকাশযুদ্ধে অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তোলে। এটি রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক এবং মারাত্মক স্টিলথ ফাইটার জেটগুলির মধ্যে একটি। Su-57 রাশিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার জেট, যা ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো উড়ানো হয়েছিল। ২০২০ সাল থেকে এটি রাশিয়ান বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এত শক্তিশালী ইঞ্জিন যে যুদ্ধবিমান বিপজ্জনক হয়ে ওঠে
আর্মি রিকগনিশন (Army Recognition) অনুসারে, SU-57E ফাইটার জেটে স্যাটর্ন AL-41F1 ইঞ্জিন লাগানো আছে। এই ইঞ্জিন দুটি আফটারবার্নিং টার্বোফ্যান ইঞ্জিন, যার প্রতিটি ৮৮.৩ কিলোনটন ড্রাই থ্রাস্ট এবং ১৪২.২ কিলোনটন আফটারবার্নার থ্রাস্ট তৈরি করতে সক্ষম। জরুরি পাওয়ার সেটিংয়ে এটি ১৪৭.১ কিলোনটন পর্যন্ত থ্রাস্ট তৈরি করতে পারে। AL-41F1 ইঞ্জিন Su-57 কে সুপারক্রুজ করার ক্ষমতা দেয়, অর্থাৎ আফটারবার্নার ব্যবহার না করেও সুপারসোনিক গতিতে উড়তে সক্ষম। এই ইঞ্জিন SU-57E কে উচ্চ গতি এবং চঞ্চলতা প্রদান করে, যা এটিকে একটি শক্তিশালী যুদ্ধবিমান করে তোলে।
Su-57E কেন গুরুত্বপূর্ণ, AMCA-তে এখনো বিলম্ব?
Su-57E চুক্তি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসলে, ভারতের নিজস্ব AMCA প্রোগ্রাম এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এটি পঞ্চম প্রজন্মের বিমান তৈরি করতে অন্তত দশ বছর সময় নেবে। এও খবর রয়েছে যে আমেরিকাও ভারতকে তাদের F-35 বিমান বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু, ভারত সম্ভবত রাশিয়া থেকেই বিমান কিনবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং একটি বড় পদক্ষেপে AMCA প্রোগ্রামের অনুমোদন দিয়েছেন। এতে ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, এই প্রকল্পটি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)-এর অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ADA) দ্বারা পরিচালিত হবে।
AMCA কে ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের বায়ু শক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘আত্মনির্ভরতা’ অর্জনে বড় সাহায্য করবে। এটি ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রতীক হবে। এটি পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। এতে আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে। এটি সব আবহাওয়ায় কাজ করার জন্য উপযুক্ত। AMCA কে কম রাডার ক্রস-সেকশন এবং সুপারক্রুজ ক্ষমতা সহ ডিজাইন করা হয়েছে। এটিকে সুখোই Su-30MKI যুদ্ধবিমানের উত্তরসূরি হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কিছু খবরে বলা হয়েছে যে এর ব্যাপক উৎপাদন ২০৩৫ সাল নাগাদ শুরু হতে পারে। এর মানে হলো ২০৩৫ সাল নাগাদ এই বিমানটি বড় সংখ্যায় তৈরি হতে শুরু করবে।
পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের বৈশিষ্ট্য এবং এর দুর্বলতা
পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো ‘স্টিলথ প্রযুক্তি’। এটি বিমানটিকে রাডারের কাছে ধরা পড়া কঠিন করে তোলে। এর ফলে বিমানটির অবস্থান নির্ণয় করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এই বিমানগুলিতে অস্ত্র ব্যবস্থা, গতি এবং সুপারসোনিক উড়ান উন্নত থাকে। এদের মধ্যে স্টিলথ, সুপারক্রুজ এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি থাকে। এদের রাডার থেকে বাঁচার ক্ষমতা থাকে, যার ফলে শত্রুরা এদের সহজে দেখতে পায় না। এটি একক আসন এবং ডাবল ইঞ্জিনযুক্ত পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হবে। Su-57E এত দ্রুত আঘাত হানে যে শত্রুর চোখেও পড়ে না।
পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটারদের বৈশিষ্ট্য হলো, তাদের নতুন ইঞ্জিন ডিজাইন এবং কুলিং সিস্টেম বিমানের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। এর ফলে থার্মাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটিকে সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই কারণেই এরা অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রমাণিত হয়। এদের খুঁজে বের করা এবং লক্ষ্যবস্তু করা সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে।
ভারত-পাকের কাছে চতুর্থ বা ৪.৫ প্রজন্মের ফাইটার রয়েছে। বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের কাছে যে যুদ্ধবিমানগুলো রয়েছে, সেগুলি চতুর্থ বা ৪.৫ প্রজন্মের। এগুলো রাডারের ধরা পড়ে যায়। ভারত যে স্টিলথ যুদ্ধবিমান প্রকল্পের অনুমোদন দিয