ঔষধ বা ভেষজ নয়, এই লক্ষণগুলি দেখলেই বুঝে যাবেন, ধমনীর প্লাক পরিষ্কার করতে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করাতে হবে

ঔষধ বা ভেষজ নয়, এই লক্ষণগুলি দেখলেই বুঝে যাবেন, ধমনীর প্লাক পরিষ্কার করতে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করাতে হবে

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হলো করোনারি ধমনী (যে রক্তনালীগুলি হৃদপিণ্ডের পেশীগুলিতে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ করে) খোলার জন্য একটি পদ্ধতি। এটি ওপেন-হার্ট সার্জারি ছাড়াই হৃদপিণ্ডের পেশীগুলিতে রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ানোর জন্য করা একটি স্বল্প সময়ের চিকিৎসা পদ্ধতি।

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি-কে পারকিউটেনিয়াস করোনারি ইন্টারভেনশনও বলা হয়। এর প্রয়োজনীয়তার সিদ্ধান্ত ডাক্তাররা অ্যাঞ্জিওগ্রাফি, স্ট্রেস টেস্ট এবং ইসিজি-এর মতো পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নেন। তবে কিছু লক্ষণ দেখেও এর অনুমান করা যেতে পারে।

অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত
অ্যাঞ্জাইনা বা বুকে ব্যথা: বুকে চাপ, আঁটসাঁট ভাব বা ব্যথাকে অ্যাঞ্জাইনা বলা হয় এবং এটি হৃদপিণ্ডের ধমনীতে ব্লকেজের ইঙ্গিত হতে পারে। এই ব্যথা প্রায়শই বুকের মাঝখানে অনুভূত হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে হাত, ঘাড় বা পিঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। এর সাথে ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব এবং ঘাম হওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যায়।

পায়ে ব্যথা বা অসাড়তা: যদি আপনার হাঁটার সময় পায়ে ব্যথা হয়, তাহলে এটি ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ (PAD)’ এর লক্ষণ হতে পারে। এই রোগটিও রক্ত ​​প্রবাহের অভাবের কারণে ঘটে এবং সময়ের সাথে সাথে গুরুতর রূপ নিতে পারে। এমন ক্ষেত্রে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি জরুরি হয়।

持续 দুর্বলতা (ক্রমাগত দুর্বলতা): যদি কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে দুর্বলতা অনুভব হয়, তাহলে এটি হৃদপিণ্ড সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যদি এর সাথে শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা বা বিছানায় শুয়েও শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এমন ক্ষেত্রে, হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে ডাক্তার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির জন্য পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে: ক্রমাগত উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিণ্ডের উপর চাপ বাড়ায় এবং এর কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। যদি রক্তচাপ দীর্ঘ সময় ধরে নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করা হয়।

ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া: যদি ঘুমের সময় বারবার শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এটি অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে। এতে মস্তিষ্ক এবং হৃদপিণ্ডে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে, যার ফলে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, অবস্থা উন্নত করার জন্য ডাক্তার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পরামর্শ দিতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *