আরেকটি সোনম-রাজা রঘুবংশীর মতো ঘটনা! মা-মেয়ে ও প্রেমিক, এই খুনের গল্প আপনাকে নাড়িয়ে দেবে

তেলেঙ্গানার গাদওয়াল জেলায় এক নববিবাহিত যুবতী, তার প্রেমিক এবং মা সহ ৮ জনকে তেজেশ্বর নামক এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, আসামিরা মেঘালয় হানিমুন হত্যাকাণ্ডের (রাজা রঘুবংশী মামলা) আদলে এই সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল।
তদন্ত অনুযায়ী, মূল আসামি তিরুমালা রাও (কর্নুলের একটি হাউজিং ফাইন্যান্স কো ম্পা নির ম্যানেজার) প্রথমে তার অফিসে পরিচারিকা হিসেবে কাজ করা এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে তার মেয়ে ঐশ্বর্য (২৩)-এর সাথেও সম্পর্ক শুরু করে এবং বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে, ঐশ্বর্যের বাগদান তেজেশ্বরের সাথে হয়ে গিয়েছিল।
মেঘালয় কাণ্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল ষড়যন্ত্র
পুলিশ জানিয়েছে, “তেজেশ্বরকে হত্যার পরিকল্পনা সোনম রঘুবংশীর ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল।” আসামিরা সুপারি কিলার দিয়ে তেজেশ্বরকে হত্যা করার জন্য অনেক লোককে জড়িত করেছিল। পুলিশ ভি. তিরুমালা রাও, ঐশ্বর্য, কুম্মারি নাগেশ, চাকালি পরশুরাম, চাকালি রাজু, এ. মোহন, তিরুপাতায়া এবং সুজাতাকে গ্রেপ্তার করেছে। সকলের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনা আবারও প্রেমের নামে সহিংসতা এবং ‘সুপারি কিলিং’-এর ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করে।
উল্লেখ্য, ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশীকে তার স্ত্রী সোনম রঘুবংশী হানিমুনের সময় মেঘালয়ে হত্যা করেছিল। এর জন্য স্ত্রী তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সাহায্য নিয়েছিল। তার সাথে আরও তিনজন লোক ছিল। যদিও, মেঘালয় পুলিশ মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং আসামিদের ধরে ফেলে। এই ঘটনা সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ এখনও অনেক লোককে খুঁজছে এবং প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে, যার ফলে মামলাটি আরও জটিল হয়ে উঠছে। পুলিশ ক্রমাগত তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।