চিনের থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় ধাক্কা পাকিস্তানের! জেট-৩৫ চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর এবার হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রও প্রত্যাখ্যান

চিনের থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় ধাক্কা পাকিস্তানের! জেট-৩৫ চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর এবার হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রও প্রত্যাখ্যান

পাকিস্তানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির স্বপ্নকে বড় ধাক্কা দিয়েছে চিন। বেজিং শুধু পাকিস্তানকে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিতেই অস্বীকার করেনি, বরং এর প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রস্তাবও সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিন ইসলামাবাদকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র রফতানির জন্য নয় এবং এর কোনো রফতানি সংস্করণও তৈরি করা হয়নি।

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে চিনের কাছে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আসছিল, যাতে তারা ভারতের ক্রমবর্ধমান ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির মোকাবিলা করতে পারে। ভারত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হাইপারসোনিক মিসাইল সিস্টেম, ব্যালিস্টিক মিসাইল, সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল এবং হাইপারসোনিক টেকনোলজি ডেমোনস্ট্রেটর ভেহিকেল (HSTDV)-এর মতো উন্নত অস্ত্র তৈরি করেছে। বিশেষত অপারেশন সিন্দুরে ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি দেখে পাকিস্তান বিচলিত। তারা এমন ক্ষেপণাস্ত্র চায় যা শব্দের গতির চেয়ে পাঁচ গুণ দ্রুত এবং যাকে আটকানো প্রায় আসাম্ভব।

‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’কে ক্ষেপণাস্ত্রের গোপনীয়তা দেবে না চিন
চিন অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা তাদের বিশেষ হাইপারসোনিক প্রযুক্তি গোপন রাখতে চায়। তাদের ভয়, যদি এই প্রযুক্তি পাকিস্তানকে দেওয়া হয়, তাহলে পশ্চিমা দেশগুলো বা তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এটি নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ পেয়ে যেতে পারে। এর ফলে চিনের সামরিক কৌশল সম্পর্কিত রহস্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন তাদের DF-17-এর মতো ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আমেরিকা এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে দেখে। তাই তারা এই প্রযুক্তি কারো সাথে ভাগ করে নিতে চাইছে না।

চিন এবং পাকিস্তানের মধ্যে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, এই প্রত্যাখ্যান দুই দেশের বন্ধুত্বের সীমা তুলে ধরেছে। উভয় দেশ CPEC, যুদ্ধবিমান, নৌ জাহাজ এবং অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমে একসঙ্গে কাজ করছে, কিন্তু হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে চিনের অবস্থান কঠোর। এটি চিন-পাকিস্তানের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্পর্কের একটি বড় মতপার্থক্য হিসাবে দেখা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জন্য একটি বড় ধাক্কা, কারণ তারা ভারতের প্রতিরক্ষা অগ্রগতির চাপে রয়েছে এবং এই প্রযুক্তি অর্জনের তাদের আশা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *