প্রযুক্তির চেয়েও তীক্ষ্ণ খামেনেইয়ের মস্তিষ্ক! যে কারণে ইসরায়েল চেয়েও তাঁকে হত্যা করতে পারেনি

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেইকে হত্যার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু খামেনেইয়ের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির কারণে ইসরায়েল তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারেনি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্যাটজ নিজেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। ক্যাটজের মতে, খামেনেইকে হত্যার জন্য ইসরায়েল সব দিক থেকে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কোনো সাফল্য আসেনি।
ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যাটজ বলেছেন যে, প্রথম দিন থেকেই তাদের লক্ষ্য ছিল খামেনেইকে হত্যা করে ইরানকে বড় ধাক্কা দেওয়া, কিন্তু খামেনেই এতটাই চালাক ছিলেন যে তিনি আত্মগোপন করেন। ক্যাটজ জানান, যখন ইসরায়েল ইরানের সামরিক কমান্ডারদের হত্যা করে, তখন থেকেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। খামেনেই নিহত সামরিক কর্মকর্তাদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে যাদের নিয়োগ করেছিলেন, তাদের মাধ্যমে খামেনেইয়ের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার আশা ছিল, কিন্তু যুদ্ধ চলাকালীন খামেনেই নতুন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করেননি। এর ফলেই ইসরায়েলের গোয়েন্দারা খামেনেইয়ের অবস্থান খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়, যার কারণে তিনি বেঁচে যান।
কীভাবে আত্মরক্ষা করলেন খামেনেই?
১৩ জুন ইসরায়েলের হামলা শুরু হতেই খামেনেই তেহরানের কাছে একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নেন। ইরান ইন্টারন্যাশনালের খবর অনুযায়ী, খামেনেই নিজের নিরাপত্তা ওয়ালি-এ-আমর নামক বিশেষ বাহিনীর হাতে তুলে দেন। ওয়ালি-এ-আমরকে ইরানের সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সংগঠনে প্রায় ১২ হাজার সেনা সদস্য রয়েছেন, যারা সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তার জন্য গঠিত। বলা হয় যে, বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকার পর খামেনেই কেবল শারীরিকভাবেই তার লোকজনের সঙ্গে দেখা করতেন, অর্থাৎ তার নিরাপত্তাকর্মীরা ফোন দূরে সরিয়ে রাখতেন।
অ্যাকসিওস একটি রিপোর্ট করেছিল যে, আমেরিকান বাঙ্কার বাস্টার বোমা ফেলার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট খামেনেইয়ের সঙ্গে একটি চুক্তিতে সম্মত হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ইরানের প্রেসিডেন্ট পেশেশকিয়ান এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন যে, তার সঙ্গে সর্বোচ্চ নেতার কোনো যোগাযোগ নেই। খামেনেইয়ের এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলোই ইসরায়েলের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।