মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আসন্ন পারমাণবিক সংঘাত তিনি একাই থামিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, উভয় দেশের সঙ্গে সব বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েই তিনি নাকি এই যুদ্ধ ঠেকিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান যে, তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন দিল্লি ও ইসলামাবাদকে সতর্ক করতে যে, যদি তারা যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে আমেরিকার সঙ্গে তাদের সব বাণিজ্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, “আমরা ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে চমৎকার কিছু কাজ করেছি। সম্ভবত এটি পারমাণবিক হামলার দিকে এগোচ্ছিল। আমরা অনেক কাজ করেছি। আমি জানি না এমন কোনো প্রেসিডেন্ট আগে ছিলেন যিনি এত কাজ করেছেন।” তিনি আবারও তার দাবি পুনরাবৃত্তি করেন যে, তিনি উভয় দেশকে বলেছিলেন যে আমেরিকা দিল্লি ও ইসলামাবাদের সঙ্গে বাণিজ্য করবে না, এবং এভাবেই তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করিয়েছিলেন, যা তার মতে পারমাণবিক হামলায় পরিণত হতে পারত। ভারত অবশ্য বরাবরই বলে আসছে যে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত অবসানের চুক্তি দুই দেশের সামরিক অভিযান মহাপরিচালকদের মধ্যে সরাসরি আলোচনার পরেই হয়েছিল।

কেন ট্রাম্পের এই দাবি?
ট্রাম্প তার মন্তব্যে সার্বিয়া এবং কসোভোর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “সার্বিয়া, কসোভোতে খুব বড় যুদ্ধ হতে চলেছিল। আমি বললাম যে, যদি যুদ্ধ হয়, তবে আমেরিকার সঙ্গে কোনো বাণিজ্য হবে না… ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। আমি তাদের দুজনের সঙ্গে কথা বলছিলাম এবং আমি (অর্থমন্ত্রী) স্কট (বেসেন্ট)-কে বললাম, আমি (বাণিজ্যমন্ত্রী) হাওয়ার্ড (লুটনিক)-কে বললাম যে, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত চুক্তি বাতিল করে দাও। তারা আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করবে না কারণ তারা যুদ্ধ করছে।”

ট্রাম্প আরও বলেন যে, উভয় দেশই “আমাদেরকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, আমরা কী করব? আমি বললাম, দেখুন আপনারা আমেরিকার সঙ্গে ব্যবসা করতে চান। এটি খুব ভালো, কিন্তু আপনারা একে অপরের উপর পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে চান। আমরা এটা হতে দেব না।” ট্রাম্পের দাবি, উভয় দেশই রাজি হয়েছিল কারণ তাদের ভালো নেতা আছে, তাই আমেরিকা অনেক কিছু করেছে। তিনি আরও বলেন যে, “ভারতের মতো কিছু বড় দেশের সঙ্গে আমার মনে হয় আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চলেছি, যার অধীনে আমরা সেখানে গিয়ে ব্যবসা করার অধিকার পাব। এখন এটি সীমিত। আপনি সেখানে যেতে পারবেন না। আপনি এ সম্পর্কে ভাবতেও পারবেন না। আমরা সম্পূর্ণ বাণিজ্য বাধা দূর করার চেষ্টা করছি।” ট্রাম্প চীনের সঙ্গেও বাণিজ্য হওয়ার কথা বলেছেন। ট্রাম্প বহুবার দাবি করেছেন যে, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে সাহায্য করেছেন।