‘আমি গুনিনি!’ বাচ্চা ক’টা জিজ্ঞেস করতেই ইউটিউবারের মুখ বন্ধ করে দিলেন জমাল চাচা

‘আমি গুনিনি!’ বাচ্চা ক’টা জিজ্ঞেস করতেই ইউটিউবারের মুখ বন্ধ করে দিলেন জমাল চাচা

সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে কিছু মানুষ এমনভাবে ভাইরাল হন যে একটি বাক্যেই তারা ইন্টারনেট দাপিয়ে বেড়ান। তেমনই একজন হলেন জমাল চাচা, যাঁর নির্লিপ্ত অথচ বিচক্ষণ উত্তর এবং বিন্দাস মেজাজ তাঁকে রাতারাতি ‘সিগমা মেল ব্রিগেডের’ নতুন নেতা করে তুলেছে। এক ইউটিউবার মেয়ে যখন নিষ্পাপভাবে জিজ্ঞেস করল, “চাচা, আপনার ক’টা বাচ্চা?”, চাচা বিনা দ্বিধায় এমন উত্তর দিলেন যে ক্যামেরা কেঁপে উঠল, মেয়েটি চুপ হয়ে গেল এবং ইন্টারনেট হাসিতে ফেটে পড়ল। এখন চাচা প্রতিটি মিমে, প্রতিটি মন্তব্যে ট্রেন্ড করছেন এবং হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষের কাছে একজন ‘সিগমা আইকন’।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ইউটিউবার মেয়েটি রাস্তায় মানুষকে হালকা-ফুলকা প্রশ্ন করছে। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, যতক্ষণ না তার সাক্ষাৎ হলো জমাল চাচার সঙ্গে। বয়স্ক, ধুতি আর গেঞ্জি পরা গম্ভীর চেহারার চাচাকে যখন মেয়েটি জিজ্ঞেস করল, “চাচা, আপনার ক’টা বাচ্চা?”, তখন চাচা হাসলেন না, লজ্জা পেলেন না, সোজা বললেন, “আমি গণনা করি না!” ব্যাস, এটাই ছিল সেই মুহূর্ত যখন ভিডিওটি ভাইরাল হওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়। মেয়েটি এক মুহূর্তের জন্য হতবাক হয়ে যায় এবং তারপর ক্যামেরা নামিয়ে নেয়, কারণ এখন দৃশ্যটা পুরোপুরি চাচার। এই একটি বাক্য ইন্টারনেটে এক মহা-আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ বলছে ‘সত্যিকারের সিগমা এভাবেই উত্তর দেয়’, তো কেউ লিখছে ‘গণনা বন্ধ, জীবন শুরু!’ এই ঘটনা ‘আমরা দু’জন, তোমরা গুণে নাও’-এর মতো হয়ে গেছে। মিম পেজগুলিতে চাচা ট্রেন্ড করছেন, কিছুজন তো তাঁকে ‘জনসংখ্যা বিভাগের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ পর্যন্ত ঘোষণা করে দিয়েছেন।

ব্যবহারকারীদের হাসি থামছে না!
ভিডিওটি ‘asli.shubhh’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ এটি পছন্দ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “চাচা সোজা আনলিমিটেড রিচার্জ করান।” আরেকজন লিখেছেন, “চাচা আমাদের আদর্শ।” আবার একজন মন্তব্য করেছেন, “চাচা, দারুণ মজা দিলেন, দীর্ঘজীবী হন।”

View this post on Instagram

A post shared by Asli_shubhh (@asli.shubhh)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *