৭ বছরে ৬ বিয়ে, ষষ্ঠ স্বামীর গায়ে ফুটন্ত জল ঢেলে চম্পট! জ্যোতির চমকপ্রদ জীবনের পর্দাফাঁস…

দিল্লির বাওয়ানা এলাকার ঔচন্দি গ্রামের সুরজ, আজ তার ৭ মাসের শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে এক অদ্ভুত লড়াই লড়ছেন। তার স্ত্রী জ্যোতি, যাকে তিনি ষষ্ঠবার বিয়ে করেছিলেন, এখন পলাতক। জ্যোতির বিরুদ্ধে গত ৭ বছরে ৬টি বিয়ে, প্রতারণা, এবং অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
প্রথম সাক্ষাত থেকে শুরু হওয়া কাহিনী
সুরজ এবং জ্যোতির প্রথম দেখা হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে একটি জাগরণ অনুষ্ঠানে। কথা এগোতে থাকে এবং ২০২৪ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি দু’জনে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের দেড় মাস পর সুরজ জানতে পারেন যে জ্যোতি অন্তঃসত্ত্বা। সুরজের দাবি, গর্ভধারণের খবর পেয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়, কারণ সন্তানটি তার হতে পারে না। এক রাতে জ্যোতি তার উপর ফুটন্ত জল ঢেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সুরজ বলেন, “২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারির রাতে সে আমার উপর নুন-লঙ্কা মেশানো ফুটন্ত জল ঢেলে পালিয়েছিল। তখন মেয়েটি আমার পাশেই ঘুমাচ্ছিল।”
বিয়ে, ব্ল্যাকমেল এবং হিংসা
সুরজ জ্যোতির গুগল ড্রাইভ এবং পুরোনো রেকর্ডস ঘেঁটে চমকপ্রদ সত্য জানতে পারেন। ২০১৬ সালে প্রথম বিয়ে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত জ্যোতি আরও ৫টি বিয়ে করেছে। প্রতিবার তার পদ্ধতি একই ছিল—মিথ্যা ধর্ষণের হুমকি দিয়ে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করা। তারপর মারধরের মামলা দায়ের করে স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া। সুরজের কাছে জ্যোতির বিয়ের নথি এবং একটি ভিডিওও আছে, যেখানে সে তার মা’কে এর জন্য দায়ী করছে।
সন্তানের জন্য সুরজের সংকল্প এবং আইনি লড়াই
৭ মাসের শিশুকন্যা এখন সুরজের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। তিনি বলেন, “স্ত্রী যেমনই হোক, আমি মেয়েকে নিজের কাছে রাখব। আদর করে লালন-পালন করব। এখন পর্যন্ত তো আমিই ওকে বড় করেছি।” তার মা এবং ভাইও মেয়েটির দেখাশোনায় ব্যস্ত, যখন জ্যোতি পলাতক। পুলিশ তার খোঁজ করছে এবং আদালত তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
সুরজ জ্যোতির বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করেছেন, যেখানে ফুটন্ত জল দিয়ে হামলার কথা উল্লেখ আছে। চিকিৎসার সময় তার মুখ, গলা এবং বুক মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়। তিনি বলেন যে জ্যোতির কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে তিনি প্রমাণ সংগ্রহ করেছিলেন, যা এখন আদালতে পেশ করা হয়েছে।