জাপানের ওসাকা ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এ ভারত প্যাভিলিয়ন তৃতীয় স্থান দখল করে এক বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে। এটি প্রদর্শিত হচ্ছে যে, বিশ্ব এখন ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে। এই অর্জন ভারতের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী করছে। প্যাভিলিয়নটি স্বল্পতম সময়ে ১০ লাখেরও বেশি দর্শক আকর্ষণ করেছে।

এটি এই কথার প্রমাণ যে, ভারতের সংস্কৃতি এবং উদ্ভাবন বিশ্বজুড়ে দর্শকদের গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পেরেছে। ওসাকা ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এর প্রধান আকর্ষণগুলির মধ্যে ভারত প্যাভিলিয়ন অন্যতম হিসেবে উঠে এসেছে। বিশেষ করে, ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের চিত্তাকর্ষক প্রদর্শন এর জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করেছে।

ভারত প্যাভিলিয়নের অনন্য বৈশিষ্ট্য
ভারত প্যাভিলিয়নের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর প্রতীক, যা বোধগয়ার মহাবোধি বৃক্ষ দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই প্রতীক ভারতের আধ্যাত্মিক মূল এবং শান্তির বার্তার প্রতীক। প্রতিদিন বহু মানুষ এই প্যাভিলিয়নে যোগ, আয়ুর্বেদ, হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী খাবার, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, মহাকাশ বিজ্ঞান এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের অর্জনগুলি উপভোগ করতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “বসুধৈব কুটুম্বকম” (বিশ্ব এক পরিবার) ধারণা ভারত প্যাভিলিয়নের এই সাফল্যের মূলে রয়েছে।

ভারত-জাপান সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পথে
ওসাকা এক্সপো ২০২৫-এ ভারতের এই শক্তিশালী উপস্থিতি ভারত-জাপান সম্পর্ককে আরও মজবুত করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এক্সপো ২০২৫ একটি বিশ্ব প্রদর্শনী, যা ব্যুরো ইন্টারন্যাশনাল ডেস এক্সপোজিশন (Bureau International des Expositions) দ্বারা আয়োজিত ও অনুমোদিত। এটি জাপানের ওসাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং এটি দ্বিতীয়বার যখন ওসাকা বিশ্ব এক্সপোর আয়োজক।

এই ইভেন্টটি ভারত-জাপান কৌশলগত সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। জাপান ইতিমধ্যেই ভারতের বুলেট ট্রেন প্রকল্প, স্মার্ট সিটি মিশন এবং বিভিন্ন ডিজিটাল অংশীদারিত্বে যুক্ত। এক্সপো ২০২৫ এই সহযোগিতাকে নতুন মাত্রা দিতে পারে। ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক যৌথভাবে এই ভারত প্যাভিলিয়নটি প্রস্তুত করেছে।