চীনকে কড়া জবাব ভারতের, অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক বসাল ৫ বছরের জন্য

চীনের চক্রান্তের কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। মোদি সরকার এমন একটি পদক্ষেপ নিয়েছে যা সরাসরি বেইজিংয়ের ভিত নাড়িয়ে দিতে পারে। চীন ও তাইওয়ান থেকে আসা প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্রপাতির ওপর ভারত পাঁচ বছরের জন্য অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে।
এই পদক্ষেপের ফলে শুধু চীনের ব্যবসায়েই বড় ধাক্কা লাগবে না, এটি ভারতের আত্মনির্ভরতার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। গেজেট বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, অর্থ মন্ত্রক দেখতে পেয়েছে যে এই দুটি দেশ থেকে ডাম্পিং মূল্যে ভারতে পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, এসব দেশের ডাম্পিং আমদানি অভ্যন্তরীণ শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চীন ও তাইওয়ান থেকে আসা এসব পণ্যের ডাম্পিং আমদানির কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্প বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছে।
মোদি-জয়শঙ্করের ওপর ৬ কোটি বেলুচের প্রশংসাসূচক ঘোষণা! ভারত তো কামাল করে দিল
অভ্যন্তরীণ শিল্পের ক্ষতিপূরণের জন্য অর্থ মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে ভারতে আমদানি করা পণ্যের ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে। উৎপত্তিস্থল, রপ্তানিকারক দেশ এবং উৎপাদকের ওপর ভিত্তি করে, এই শুল্ক পণ্যের সিআইএফ মূল্যের ২৭ শতাংশ থেকে ৬৩ শতাংশ পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে। এই অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ থেকে পাঁচ বছরের জন্য (যদি না এর আগে এটি বাতিল, প্রতিস্থাপিত বা সংশোধন করা হয়) কার্যকর থাকবে। অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক ভারতীয় মুদ্রায় দিতে হবে।
ভারতকে গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছিল চীন, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিজেই ফাঁস করলেন বন্ধুর আসল চেহারা
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক হলো আমদানি করা পণ্যের ওপর ধার্য করা এক ধরনের কর, যা পণ্যের রপ্তানি মূল্য এবং তার স্বাভাবিক মূল্যের মধ্যেকার পার্থক্য মেটানোর জন্য আরোপ করা হয়। এটি ডাম্পিংয়ের কারণে আমদানি করা দেশের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর ক্ষতি হলে তাদের রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।