‘প্লিজ! ৩ সন্তানের মাকে আমার স্ত্রী বানাবেন না’, চিৎকার করতে থাকল বর

বিয়ে সাত জন্মের বন্ধন। কিন্তু কে কখন কীভাবে প্রতারিত হবে, তা বলা কঠিন।
অনেক সময় বিয়ের আগে এবং অনেক সময় বিয়ের পরেও প্রতারণার শিকার হতে হয়। বিহারের ভাগলপুরে এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে তিন সন্তানের জননী এক পরপুরুষের জন্য নিজের স্বামীকে ধোঁকা দিয়েছেন। স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গেলেও, যে প্রেমিকের জন্য তিনি স্বামীকে ছেড়েছিলেন, সেই প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তবে, পরে গ্রামের লোকজন তাদের দুজনেরই বিয়ে দেন।
বিয়ের সময় বর চিৎকার করে বলছিলেন- তিন সন্তানের মায়ের সাথে আমার বিয়ে দেবেন না। আমি শুধু তার সঙ্গে মজা করছিলাম। খাওয়া-দাওয়া আর থাকা পর্যন্তই আমাদের সম্পর্ক ছিল। আমি তাকে বিয়ে করতে চাই না। সে আমার থেকে পাঁচ বছরের বড়। কিন্তু বরের কথা কেউ শোনেননি। তার সাথেই ওই মহিলার বিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনাটি ভাগলপুরের কো ম্পা নিবাগের। এখানে প্রেমে পাগল তিন সন্তানের জননী তার থেকে ৫ বছরের ছোট এক ছেলেকে বিয়ে করেছেন। ওই মহিলার সবচেয়ে বড় ছেলের বয়স ১৭ বছর। প্রেমিক তাকে বিয়ে করতে চায়নি। কিন্তু গ্রামবাসী মন্দিরে তাদের বিয়ে দেন।
ভাগলপুরের কো ম্পা নিবাগের বাসিন্দা কুন্দন দাস এবং দিল্লিতে কাজ করা নিশার মধ্যে গত পাঁচ বছর ধরে পরিচয় ছিল। যখন নিশার স্বামী তাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন, তখন তিনি নিশাকে ছেড়ে দেন। এরপর তিনি কুন্দনের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। নিশার তিন সন্তান রয়েছে। সবচেয়ে বড় ছেলের বয়স প্রায় ১৭ বছর। একসঙ্গে থাকার সময় নিশা কুন্দনের উপর ক্রমাগত বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এতে বিরক্ত হয়ে কুন্দন দিল্লি ছেড়ে ভাগলপুরে ফিরে আসেন।
হাই-ভোল্টেজ ড্রামা চলল ঘণ্টার পর ঘণ্টা
কয়েকদিন পর নিশাও ভাগলপুরে চলে আসেন। নিশা কুন্দনের বাড়িতে এসে প্রতিদিন বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন, কিন্তু কুন্দন তা অস্বীকার করে পালিয়ে যেতেন। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনা চলতে থাকে, কিন্তু বুধবার রাতে বিষয়টি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। নিশা কুন্দনের বাড়িতে পৌঁছে বিয়ের কথা আবার বললে কুন্দন তার উপর রেগে যান। তাদের দুজনের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাই-ভোল্টেজ ড্রামা চলতে থাকে। এতে সমাজের লোকজন দুজনকে ধরে মন্দিরে নিয়ে আসে। পুলিশকে খবর দিয়ে স্থানীয় মন্দিরে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
‘তিন সন্তানের মাকে কেন ভালোবাসব’
যদিও, ছেলেটি বারবার বিয়ে করতে অস্বীকার করতে থাকে। কুন্দন জানান, তিনি নিশাকে বিয়ে করতে চান না। সে তার থেকে অনেক বড়। কুন্দন তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকার কথাও অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি শুধু খাওয়া-দাওয়া এবং একসঙ্গে থাকার জন্যই তার সাথে ছিলাম। তিন সন্তানের মাকে আমি কেন ভালোবাসব।