উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে এক কৃষক একটি আর্থিক সংস্থা থেকে নয় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এরপর কৃষক ৩০ লাখ টাকা শোধ করলেও তার কাঁধ থেকে ঋণের বোঝা নামেনি। শুধু তাই নয়, কৃষককে আরও প্রায় সওয়া কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ঋণের ভারে জর্জরিত কৃষক এবার জেলার এসপির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এসপি এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনাটি বিজনৌরের গোপালপুরের। এখানকার কৃষক হরবীর সিং ধারা ফাইন্যান্স কো ম্পা নির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এসপিকে জানান যে, ২০১৪ সালে তিনি বিজনৌরের একটি আর্থিক সংস্থা থেকে জমি বন্ধক রেখে ৯ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কৃষকের দাবি, ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি কো ম্পা নিকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত শোধ করেছেন, তা সত্ত্বেও তার ঋণ মেটেনি।

খেয়ালখুশি মতো সুদ আদায়

অভিযোগ, আর্থিক সংস্থাটি সুদের এমন খেলা খেলেছে যে কৃষকের সব কিছু বিক্রি হয়ে গেছে, কিন্তু তার পরেও তার ঋণ শোধ হয়নি। কৃষক জানিয়েছেন, কো ম্পা নি থেকে ঋণ নেওয়ার সময় তিনি প্রায় ৮ বিঘা জমি বন্ধক রেখেছিলেন, যা কো ম্পা নি প্রতারণা করে নিজেদের নামে করে নেয় এবং পরে বিক্রি করে দেয়।

কৃষকের দাবি, কো ম্পা নি তার কাছে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা বকেয়া দেখিয়েছে। এসপি অভিষেক ঝা জানিয়েছেন, এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। এই মামলার তদন্ত চলছে। আর্থিক সংস্থাটির সব লেনদেনেরও কর রাজস্ব বিভাগ দ্বারা তদন্ত করানো হবে।

আর্থিক সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কী বললেন?

ধারা মোটর ফাইন্যান্স কো ম্পা নির ম্যানেজিং ডিরেক্টর গজেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, এই মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা মেনে নেওয়া হবে।