ফ্যাটি লিভার: পিত্তথলি ও ফ্যাটি লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, রোজকার ডায়েটে রাখুন এই ৭ খাবার

পিত্তথলি ও ফ্যাটি লিভার বিশেষজ্ঞ অলিভিয়া হাস তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা পরামর্শ নিয়মিত শেয়ার করেন। অস্ত্রোপচারের পর দ্রুত সুস্থ হওয়া থেকে শুরু করে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এমন খাবারের পরামর্শ, তাঁর পেজটি পুষ্টি সম্পর্কিত নানা দরকারি তথ্যের ভাণ্ডার।
গত ১৫ মার্চ অলিভিয়া বিশেষ করে লিভার এনজাইম বেড়ে যাওয়া এবং পিত্তথলি না-থাকা রোগীদের খাদ্যতালিকা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন, “আপনার কি পিত্তথলি নেই এবং ফ্যাটি লিভার ধরা পড়েছে? চিন্তা নেই! লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাবারকে কীভাবে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করবেন তা জানতে ডানদিকে সোয়াইপ করুন।”
১. তেতো খাবার: এ ধরনের খাবার ফ্যাট হজমে সাহায্য করে, পিত্তের প্রবাহকে সমর্থন করে এবং পিত্তের মাধ্যমে লিভারের ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে।
২. কোলিন: পিত্ত উৎপাদন ও প্রবাহের জন্য কোলিন অত্যন্ত জরুরি। এটি ফ্যাট ও কোলেস্টেরল মেটাবলিজমেও সাহায্য করে। লিভার থেকে ফ্যাট অপসারণ এবং ফ্যাট জমা হওয়া আটকাতে এটি গ্রহণ করা উচিত।
৩. ব্রকোলি স্প্রাউটস: ব্রকোলি স্প্রাউটস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে ভরপুর। এটি লিভারের দ্বিতীয় ধাপের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে এবং গ্লুটাথিয়নের মাত্রা বাড়ায়। ব্রকোলি স্প্রাউটসে সালফোরাফেনও উচ্চ পরিমাণে থাকে।
৪. চর্বিহীন প্রাণিজ প্রোটিন: লিভারের ডিটক্সিফিকেশনে সহায়ক অ্যামিনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ চর্বিহীন প্রাণিজ প্রোটিন লিভারে ফ্যাট জমা হওয়া এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এমন এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. ক্রুসিফেরাস সবজি: এই ধরনের সবজিতে এমন যৌগ থাকে যা বিষাক্ত পদার্থ দূর করে লিভারের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। এদের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
৬. সার্ডিন: সার্ডিনে উচ্চ মাত্রায় ওমেগা-৩ থাকে, যা লিভারে ফ্যাট জমা হওয়া কমাতে, ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে এবং ফ্যাট মেটাবলিজমে সাহায্য করে। এতে উচ্চ পরিমাণে B12 থাকে, যা লিভারে ফ্যাট জমা হওয়া কমাতে এবং দ্বিতীয় ধাপের লিভার ডিটক্স- মিথাইলেশনে (যেটি পিত্তথলির সমস্যাযুক্ত রোগীদের জন্য বেশি দরকারি) সাহায্য করে। এছাড়াও এতে টরিন থাকে, যা ফ্যাট মেটাবলিজম উন্নত করে, লিভারের ফ্যাট কমায় এবং ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ায়।
৭. দ্রবণীয় ফাইবার: এটি বিষাক্ত পদার্থ, বর্জ্য এবং অতিরিক্ত হরমোনের জন্য একটি প্রাকৃতিক বাইন্ডিং উৎস হিসেবে কাজ করে, যা শরীর থেকে সেগুলিকে বের করে দিয়ে লিভারের উপর চাপ কমায় এবং পুনরায় শোষিত হওয়া আটকায়। পিত্ত অ্যাসিড ডায়রিয়া এবং পিত্ত রিফ্লাক্সের মতো সমস্যায় এটি একটি প্রাকৃতিক বাইন্ডিং উৎস এবং এটি সহজে সহ্য করা যায়।
পাঠকদের জন্য নোট: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং পেশাদার চিকিৎসার বিকল্প নয়। কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে সর্বদা আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।