আজকের এই ব্যস্ত জীবনে মানুষ নিজের স্বাস্থ্যের ঠিকমতো যত্ন নিতে পারছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অফিসে বসে কাজ করা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, শরীরচর্চায় ঘাটতি এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

সারাদিনের কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফিরেও অনেকে ফোনে বেশি সময় কাটান। আবার অনেকে কাজের চাপে মানসিক অবসাদের শিকার হন। এর প্রথম প্রভাব পড়ে তাদের ঘুমের ওপর।

ডাক্তাররাও সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন। ঘুম সম্পূর্ণ না হলে সারাদিন ক্লান্তি থাকে। কাজেও মন বসে না। কথায় কথায় রাগ হয়। আপনিও যদি অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন, তবে আমরা আপনাকে এমন কিছু উপায় বলতে যাচ্ছি যা অনুসরণ করলে আপনার চোখ সোজা সকালে খুলবে। আসুন সেই উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

ফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না

রাতে যদি আপনি শান্তিতে ঘুমাতে চান, তবে রাত ৯টার পর ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন। এই ডিভাইসগুলো থেকে নির্গত নীল আলো মস্তিষ্ককে বিশ্রাম নিতে বাধা দেয়। এটি মেলাটোনিন নামক হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যার কারণে আপনার ঘুমের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।

হার্বাল টি পান করুন

অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘুমানোর আগে হার্বাল টি পান করতে পারেন। এটি আপনার মনকে শান্ত করে। আসলে, হার্বাল টি-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনাকে আরাম অনুভব করায়। এর ফলে আপনার ঘুমও ভালো হয়।

গরম দুধ এবং হলুদ

যদি আপনি রাতভর ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তবে একবার এই উপায়টিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে দুধ গরম করে তাতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এরপর এটি হালকা গরম অবস্থায় পান করুন। মনে রাখবেন, দুধ পান করার পর কিছুক্ষণ হাঁটা জরুরি। অন্যথায় হজমের সমস্যা হতে পারে। এতে আপনার ভালো ঘুমও হবে।

হালকা খাবার খান

রাতে আমাদের ভারী খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। ডাক্তাররাও রাতে হালকা এবং সহজে হজমযোগ্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগে হালকা রাতের খাবার খান, এতে আপনার ভালো ঘুম হবে।

মেডিটেশনও ভালো বিকল্প

যদি আপনার অনিদ্রার সমস্যা থাকে, তবে রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে আপনার ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা উচিত। মেডিটেশনের মাধ্যমে আপনার মন শান্ত হবে। এর পাশাপাশি আপনি নিজেকে মানসিক চাপ থেকেও বাঁচাতে পারবেন।