মাত্র ১০ টাকায় দাঁতের কালো ও হলুদ স্তর চলে যাবে, এক মুহূর্তে দাঁত হবে মুক্তোর মতো সাদা, ডাক্তার উপেন্দ্র বহুলের অব্যর্থ উপায়

মাত্র ১০ টাকায় দাঁতের কালো ও হলুদ স্তর চলে যাবে, এক মুহূর্তে দাঁত হবে মুক্তোর মতো সাদা, ডাক্তার উপেন্দ্র বহুলের অব্যর্থ উপায়

হোম রেমেডিস ফর ইয়েলো টিথ হোয়াইটেনিং: কখনও কখনও দাঁতে কালো ও হলুদ স্তর জমে যায়, যা যতই ঘষা হোক না কেন তা ওঠে না এবং এর ফলে মুখের নানা রোগ হয়। এছাড়া, হলুদ দাঁতের জন্য চারজনের মাঝে হাসতে লজ্জা লাগে।

এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তার উপেন্দ্র বহুলের বলা সহজ ঘরোয়া উপায়গুলো একবার অবশ্যই চেষ্টা করে দেখুন।

আমরা প্রতিদিন দু’বার ব্রাশ করি, দামি টুথপেস্ট ব্যবহার করি, তবুও অনেকের দাঁত সবসময় হলুদ দেখায়। কারো কারো দুটি দাঁতের মাঝে কালো স্তর দেখা যায়, আবার কারো কারো ঠান্ডা বা গরম কিছু খেলে দাঁতে শিরশিরানি ও ব্যথা হয়। এই লক্ষণগুলো শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, আত্মবিশ্বাসের জন্যও ক্ষতিকর। এই সমস্যাগুলোর জন্য অনেকে ডেন্টিস্টের কাছে যান এবং দামি চিকিৎসা করান।

কিন্তু যদি এর জন্য একটি এমন ঘরোয়া উপায় থাকে যা খুবই সস্তা, সহজ এবং কার্যকরী হয়? বিখ্যাত আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. উপেন্দ্র বহুল এমনই একটি প্রাকৃতিক এবং ঐতিহ্যবাহী উপায়ের পরামর্শ দিয়েছেন। শুধুমাত্র লবঙ্গ, ফিটকিরি এবং জলের সাহায্যে দাঁতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। এই উপায়টি কী এবং কীভাবে এটি করতে হয়, তা বিস্তারিত জেনে নিই।

লবঙ্গ

লবঙ্গ প্রাচীনকাল থেকেই দাঁতের ব্যথা এবং মুখের যত্নে ব্যবহৃত একটি ঘরোয়া ঔষধ। লবঙ্গের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক গুণ থাকে, যা দাঁতের ওপরের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। ফলে দাঁতের দুর্গন্ধ, হলুদ স্তর এবং শিরশিরানির ওপর লবঙ্গ কার্যকরী হয়। এই উপায়ের জন্য ১৫ থেকে ২০টি লবঙ্গ আধ লিটার জলে সেদ্ধ করতে হবে। এর ফলে লবঙ্গের ঔষধি গুণ জলে মিশে যায়। এই জল দাঁতের জন্য সেরা প্রাকৃতিক টনিক হিসাবে কাজ করে।

ফিটকিরি

ফিটকিরিতে ব্লিচিং গুণ থাকে। এটি দাঁতের হলুদভাব এবং কালো স্তর কমাতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে ফিটকিরি ব্যাকটেরিয়া বিরোধী হওয়ায় দাঁতের মাড়ির ফোলা ও আঘাতের জন্য উপকারী হয়। এই উপায়ে ১ চামচ ফিটকিরি লবঙ্গের জলে মেশাতে হবে। এই মিশ্রণটি ২-৩ দিন ঢেকে রাখার পর ব্যবহার করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় জলের ঔষধি গুণ আরও কার্যকরী হয়।

কড়কড় করে কুলি করার প্রভাব

রাতে ঘুমানোর আগে এই তৈরি করা ঔষধি জল দিয়ে কড়কড় করে কুলি করুন। কুলি করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়, মাড়ি মজবুত হয় এবং সতেজতা বজায় থাকে। এই জল ব্রাশ করার জন্য ব্যবহার করলেও দাঁতে কার্যকরী পার্থক্য দেখা যায়। নিয়মিত কুলি করলে ছোট-বড় দাগ, হলুদ স্তর এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। আপনার দাঁত এবং মাড়ি একসাথে সুস্থ থাকে।

সংবেদনশীলতায় পান প্রাকৃতিক আরাম

ঠান্ডা বা গরম কিছু খেলে কি দাঁতে শিরশিরানি হয়? এই সমস্যাটি খুব বেশি দেখা না গেলেও এটি বেদনাদায়ক হয়। লবঙ্গ এবং ফিটকিরির সম্মিলিত প্রভাব দাঁতের পেশী এবং স্নায়ুর ওপর ইতিবাচক হয়। ফলে সংবেদনশীলতার তীব্রতা কমে যায়। এই জল দিয়ে প্রতিদিন ব্রাশ করলে দাঁত ব্যথা এবং মাড়ি ব্যথায় প্রাকৃতিক আরাম পাওয়া যায়। দামি টুথপেস্ট বা চিকিৎসার চেয়ে এই উপায়টি বেশি কার্যকরী।

নিয়মিত ব্যবহার করলে দেখা যাবে মুক্তোর মতো পরিবর্তন

এই ঔষধি জল প্রতিদিন ব্যবহার করার অভ্যাস করলে কিছু দিনের মধ্যেই আপনার দাঁত উজ্জ্বল, পরিষ্কার এবং সুস্থ দেখাবে। হাসার সময় লুকিয়ে হাসার দরকার হবে না। হলুদভাব, কালো দাগ, দাঁত ব্যথা এবং শিরশিরানি এসব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *