শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যু: ৪২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন শেফালি জরিওয়ালা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শেফালির আকস্মিক মৃত্যুতে অনুরাগীরা শোক প্রকাশ করেছেন।

হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর শেফালিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে শেফালির সঙ্গে কী ঘটেছিল? কীভাবে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই ঘটনার ভেতরের খবর শেফালির আবাসনের ওয়াচম্যান জানিয়েছেন। এ ছাড়া মুম্বাই পুলিশও এই ঘটনার তদন্ত করেছে।

ওয়াচম্যান কী জানালেন?

শেফালি জরিওয়ালা আন্ধেরির গোল্ডেন রেজ নামের একটি বিল্ডিংয়ে স্বামী পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে থাকতেন। এই বিল্ডিংয়ের ওয়াচম্যান শত্রুঘ্ন মাহাতো মাঝরাতে শেফালির সঙ্গে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। ওয়াচম্যান বলেন, “রাত তখন ১০টা বা সোয়া ১০টা হবে। ঠিক সেই সময় একটি গাড়ি গেট দিয়ে বেরিয়ে যায়। গাড়িটি আসতেই আমি দ্রুত গেট খুলে দিই। যেহেতু এটি একটি জরুরি অবস্থা ছিল, তাই গাড়িটি খুব দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। গাড়ির কাঁচ কালো হওয়ায় ভেতরে শেফালি ছিলেন কি না, তা আমি জানি না। আমি গত পরশু শেষবার শেফালিকে দেখেছিলাম। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে তাঁদের কুকুরও ছিল।”

“শেফালি সবার সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করতেন। তিনি কাউকে কখনো বাধা দেননি। তাঁর স্বভাব খুব ভালো ছিল, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। রাত ১টায় একজন ব্যক্তি এসেছিলেন এবং আমাকে একটি ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনি কি এঁকে চেনেন?’ তিনি মারা গেছেন। প্রথমে আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। সেই ব্যক্তিটি তাঁর বন্ধু ছিলেন। এর পর রাত ১টায় পুলিশ আসে এবং ম্যাডামের রাঁধুনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।” এভাবেই শেফালির বিল্ডিংয়ের ওয়াচম্যান পুরো ঘটনাটি খুলে বলেন। শেফালির আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর অনুরাগীরা শোকাহত।